রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্তকারীরা সোমবার জানান, ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যেই’ মায়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিমদের খুন এবং ধর্ষণ করেছিল। এই নৃশংস অপরাধের জন্য মায়ানমার সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার-ইন-চিফ এবং পাঁচ জন জেনারেলের বিরুদ্ধে বিচার চালানো উচিত বলেও জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সে দিন কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও মায়ানমার সরকার আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, মার্কিন বিদেশ দফতর রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্ত-রিপোর্ট তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে মায়ানমারের সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুসন্ধানকারী কমিটিকে আমরা মায়ানমারে ঢুকতে দিইনি। তাই আমরা ওদের কোনও সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই, আর তা মানছিও না।’’ এ ব্যাপারে মায়ানমারের নিজস্ব নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রাষ্ট্রপুঞ্জ বা অন্য আন্তর্জাতিক কোনও পক্ষ যাতে মিথ্যে অভিযোগ ছড়াতে না পারে, তার জন্যই দেশীয় এই কমিশন গড়া হয় বলে জানান ওই মুখপাত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্তকারীরা জানান, রাখাইন প্রদেশে হিংসা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার ফেসবুকও মায়ানমারের কিছু সেনা অফিসারের প্রোফাইল মুছে দেয়। এতেও চটেছেন সরকারি মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, এই ভাবে শীর্ষ স্তরের সেনা অফিসারদের প্রোফাইল সরানোয় সরকার জনতার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের যে প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল, তা ধাক্কা খাচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান জ়াইদ রাদ আল হুসেন আজ ফেসবুককে বলেছেন, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় না ছড়ায়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তিনি সতর্ক করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়েও। মঙ্গলবার গুগলকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ভাবনা চলছে বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রসঙ্গেই জ়াইদের এই মন্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy