Advertisement
E-Paper

রাশিয়াকে তথ্য পাচার? ইস্তফা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার

অবস্থা বেগতিক বুঝে সোমবার রাতে হঠাৎই ইস্তফা দিলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। গত মাসেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে, আমেরিকায় রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁর সেই সব ফোন-কলের রেকর্ড থাকার কথাও চাউর হয়ে যায়। এও রটে যায়, সে কথা তিনি প্রশাসনের কাছে গোপন রেখে যাচ্ছেন। রাশিয়াও ফ্লিনকে ব্ল্যাক মেল করে চলেছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭:০৯
মাইকেল ফ্লিন।

মাইকেল ফ্লিন।

অবস্থা বেগতিক বুঝে সোমবার রাতে হঠাৎই ইস্তফা দিলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। গত মাসেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে, আমেরিকায় রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁর সেই সব ফোন-কলের রেকর্ড থাকার কথাও চাউর হয়ে যায়। এও রটে যায়, সে কথা তিনি প্রশাসনের কাছে গোপন রেখে যাচ্ছেন। রাশিয়াও ফ্লিনকে ব্ল্যাক মেল করে চলেছে।

জল অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে বুঝে শেষমেশ ইস্তফা দিয়েই বসলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দ করা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। তাঁর পদত্যাগপত্রে ফ্লিন লিখেছেন, ‘‘রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথাবার্তার রেকর্ড নিয়ে যে সব ভাসা ভাসা অভিযোগ উঠেছে, তা আমি কারও কাছেই গোপন করিনি। ওই সময়েই তা জানিয়েছিলাম ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে (তখনও শপথ নেননি ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স)। জানিয়েছিলাম প্রশাসনের অন্যদেরও। আমি প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ওই কাজের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলাম। ওঁরা আমাকে ক্ষমাও করেছিলেন। তবু দেশের আর মার্কিন নাগরিকদের সম্মান রক্ষার্থে আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’’

আরও পড়ুন- অভিবাসী যেখানে বেশি, অপরাধ সেখানে কম, ট্রাম্পকে ওড়ালো গবেষণা

কিন্তু ইস্তফাপত্রটি ফ্লিন যে ভাষায় লিখেছেন, হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলছেন, হয়তো আগামী দিনে তাঁকে কোনও ‘পুরস্কার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই আপাতত ফ্লিনকে দিয়ে পদত্যাগপত্রটি লেখানো হয়েছে!

ইস্তফাপত্রে ফ্লিন লিখেছেন, ‘‘আমি জানি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স যে টিমের (প্রশাসন) নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই টিম আমেরিকার ইতিহাসে সেরা প্রশাসন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে।’’

তবে যাই হোক, ইস্তফা দিয়ে আপাতত মার্কিন রাজনীতিতে ‘হিরো’ হয়ে গিয়েছেন ফ্লিন। শপথ নেওয়ার পর এক মাস ফুরোতে না ফুরোতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের পছন্দ করা কোনও উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন, এমন নজির আমেরিকতার ইতিহাসে নেই।

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, জেনারেল কিথ কেলগকে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এত দিন সামলাচ্ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অফ স্টাফ।

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে তাঁর টেলিফোনে কী কী কথাবার্তা হয়েছে, সে সব সত্যি-সত্যিই কতটুকু ফ্লিন জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সকে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি দু’জনের কাছেই সত্যটা গোপন করেছিলেন। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সত্য গোপন করেননি ফ্লিন। আসলে তাঁর কথাবার্তার আগাগোড়া মনে রাখতে পারেননি ফ্লিন। তবে হোয়াইট হাউস অবশ্য এ কথা স্বীকার করেছে, ‘‘মনে রাখতে না পারাটা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো এক জন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর গুণ বলে বিবেচিত হতে পারে না।’’

United States Donald Trump Michael Flynn
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy