হাফিজ সইদ। ফাইল চিত্র। এএফপি।
পাক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। যাবতীয় প্রশাসনিক বাধা উড়িয়ে গত বছরই নিজের তৈরি রাজনৈতিক দলের অফিস খুলেছিলেন হাফিজ সইদ। জানিয়েছিলেন ভোটে লড়ার কথাও।
এ বার হাফিজ সইদের সেই রাজনৈতিক সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগ (এমএমএল)-কে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করল আমেরিকা। মিল্লি মুসলিম লিগের পাশাপাশি তেহরিক-ই-আজাদি-ই-কাশ্মীরি (টিএজেকে)-কেও জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমএমএল এবং টিএজেকে-উভয় সংগঠনই লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন হিসেবে তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, লস্কর একটি জঙ্গি সংগঠন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নাথান এ সালেস বলেন, ‘‘আমেরিকা কোনও দিনই জঙ্গি কার্যকলাপকে সমর্থন করে না। এই সব দলের কোনও রাজনৈতিক মতবাদও থাকতে পারে না।’’
লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদ ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হিসেবে অভিযুক্ত। ভারত দীর্ঘ দিন ধরেই হাফিজের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য চাপ দিচ্ছে পাকিস্তানকে। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ধার্য করেছে ১ কোটি ডলার। রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছে তাঁকে। এ হেন হাফিজ সইদ যে দিন থেকে ঘোষণা করেছেন যে মিল্লি মুসলিম লিগ (এমএমএল) নামে একটি রাজনৈতিক দল খুলছেন তিনি, সে দিন থেকেই পাল্টা পদক্ষেপের কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছে পাক প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন যাতে এমএমএল-কে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় হয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। লড়াই গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে পাক সরকার জানায়, লস্করের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমএমএল-এর। এ ধরনের সংগঠন রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে কট্টরবাদ এবং হিংসা বাড়বে বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়।
আরও খবর: মুফতিকে ওমরের তির, স্তব্ধ কাশ্মীর
শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জিততে পারেননি হাফিজ সইদ। সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁর পক্ষে যায়নি। নির্বাচন কমিশনও এমএমএল-কে স্বীকৃতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও হাফিজ সইদ এমএমএল-এর ব্যানার নিয়ে ময়দানে নামেন। শুধু অফিস উদ্বোধন করা নয়, পাকিস্তানের বর্তমান শাসক দলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছিলেন হাফিজ সইদ।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিযুদ্ধ, নিহত ১৮
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy