স্মৃতি: মনিকা লিউইনস্কি ও বিল ক্লিন্টন। ফাইল চিত্র
হোয়াইট হাউসে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতে আসা মনিকা লিউইনস্কি এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই বিষয়টি নিয়েই এ বার গল্প বাঁধছেন এক জনপ্রিয় মার্কিন ক্রাইম শো-এর প্রযোজকেরা। যাঁদের মধ্যে একজন মনিকা নিজেই! ২০২০-সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই এফএক্স চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে শো-এর এই সিজ়ন।
হোয়াইট হাউসের ইন্টার্ন মনিকার বয়স তখন ২২। আর প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন তখন পঞ্চাশের দোরগোড়ায়। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কটি দানা বেঁধেছিল বলে সূত্রের খবর। যদিও ক্লিন্টন কখনওই তা স্বীকার করেননি। যদিও ১৯৯৮ সালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে শপথভঙ্গ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির দায়ে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হয় ক্লিন্টনকে। মার্কিন কংগ্রেসে ২১ দিন ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। পরে কংগ্রেসের কাছ থেকে নির্দোষ তকমা পেয়ে যান ক্লিন্টন। যদিও তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন এখনও থেকে গিয়েছে। সম্পর্কের ইতি বৃত্তান্তের পাশাপাশি এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার পুরোটাই তুলে ধরা হবে এই ধারাবাহিকে।
অভিনেত্রী বিনি ফেল্ডস্টিনকে দেখা যাবে মনিকার চরিত্রে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে বিষয়ে মনিকার ফোন চুপিসারে রেকর্ড করেছিলেন যে আমলা, সেই লিন্ডা ট্রিপের চরিত্রে অভিনয় করবেন সারাহ পলসন। তবে বিল ক্লিন্টন এবং তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের চরিত্রে কারা অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি।
প্রথমে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ঠিকই তবে প্রধান প্রযোজক রায়ান মার্ফির সঙ্গে আলোচনার পর তা পুরোটাই কেটে গিয়েছে বলে জানান মনিকা। তাঁর কথায়, ‘‘এতদিন আমার হয়ে অন্যরা কথা বলে এসেছেন। এই ক’বছর হল আমি নিজের কাহিনী নিজেই বলতে শিখেছি।’’ এ তো গেল মনিকার কথা। এই শো নিয়ে ক্লিন্টন দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছেন কি নির্মাতারা। মার্ফি জানান, তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হচ্ছে না।
ধারাবাহিকটিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে সম্প্রচার করার ফলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে সরব হয়েছেন কয়েক জন। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছেন নির্মাতারা। ধারাবাহিকটির নাম এখনও ঠিক হয়নি। তবে ‘ইমপিচমেন্ট: আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ নামটি দৌড়ে এগিয়ে বলে সূত্রের খবর।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy