তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে। বাড়ির উঠোনেই খেলা করছিল দুই ভাই। ঘরের ভিতর কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাদের মা। হঠাত্ই চিত্কারের আওয়াজ। কী হয়েছে দেখতে বাইরে বেরিয়ে আসেন মহিলা। বাইরে বেরিয়ে তিনি যা দেখলেন, তা ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে।
কী দেখলেন তিনি?
তাঁর দুই ছেলের মধ্যে পাঁচ বছরের ছোট ছেলেটিকে একটি পাহাড়ি সিংহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আরও ভয়ঙ্কর যে বিষয়টি তা হল, ছেলেটির মাথা সিংহের মুখের ভিতর ছিল। প্রাণপণে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল ছোট্ট ছেলেটি। এই ভয়ানক দৃশ্য দেখে ঠিক থাকতে পারেননি ওই মহিলা। এর পরে তিনি যা করলেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য।
এক দৌড়ে সিংহের সামনে চলে যান তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েন তার উপরে। জাপটে ধরে সিংহের মুখ খুলে ছেলের মাথা ছাড়িয়ে আনেন। ছেলেটির মাথা ও ঘাড়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সিংহের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন ওই মহিলাও। এর পর সিংহটিকে মেরে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন তিনি। ঘটনাটি কলোরাডোর।
গুরুতর জখম অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ছোটেন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। সেখান থেকে তাকে একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বন দফতরের এক কর্মী জানান, গত কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকায় খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে নেমে আসছে সিংহরা। লোকালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে হামলা চালাচ্ছে। দুটো সিংহকে মারা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মী। তিনি বলেন, “যে সিংহটি বাচ্চাটির উপর হামলা চালিয়েছিল, সেটির বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। যদি এটি ১১০ পাউন্ডের সিংহ হত, তা হলে ছবিটা অন্য রকম হত।”
আরও খবর...