স্থলপথে অভিযানের পাশাপাশি এ বার মায়ানমারের জুন্টা সরকারের সেনার বিরুদ্ধে আকাশপথে অভিযান শুরু করল সে দেশের বিদ্রোহী জোট। মায়ানমারের রাজধানী নেপিডো শহরে সেনার মূল শিবিরে ওই ড্রোন হানাদারি চালানো হয়েছে বলে সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)-র তরফে দাবি করা হয়েছে।
এনইউজির মুখপাত্র কিয়াউ জ়াউ শুক্রবার বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার পরিকল্পনায় আমরা সফল হয়েছি। ভবিষ্যতে এমন ভাবে আরও হামলা চালানো হবে। সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি গণতন্ত্রপন্থীদের।
আরও পড়ুন:
গত নভেম্বর থেকে সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের অর্ধেকের বেশি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মায়ানমার সেনা।