Advertisement
E-Paper

বন্যাত্রাণে আন্তর্জাতিক সাহায্য চায় নেপাল

বন্যা এবং ধস কবলিত জেলাগুলিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪১
বন্যাবিধ্বস্ত নেপাল।

বন্যাবিধ্বস্ত নেপাল।

পুরোপুরি না থামলেও নেপালে বহু জায়গায় বৃষ্টির তীব্রতা অনেকটা কমেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলের নীচে। এই পরিস্থিতিতে জলবাহিত সংক্রমণ যাতে না-ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সহায়তার আর্জি জানিয়েছে নেপাল।

প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে নেপালের ২৫টি জেলা। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন। দুর্যোগের কবলে পড়েছে প্রায় ১০,৩৮৫টি পরিবার। দুর্যোগের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে গত কাল জরুরি বৈঠকে বসেন নেপালের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ-সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নেপালের প্রতিনিধিরাও। টানা বৃষ্টির জেরে জলবাহিত সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি, বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।

বন্যা এবং ধস কবলিত জেলাগুলিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি যাতে তাঁদের আধুনিক ব্যবস্থা ওই জেলাগুলিতে পৌঁছে দেয়, সেই আর্জি জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব সংগঠনের প্রতিনিধি তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন বলে দাবি মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকদের দল তৈরি করে দুর্গত এলাকাগুলিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

জলবাহিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ‘এপিডেমোলজি এবং ডিজ়িজ় কন্ট্রোল ডিভিশন’-এর এক আধিকারিক, চিকিৎসক সমীর কুমার অধিকারীর কথায়, ‘‘ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, কালাজ্বরের মতো রোগের পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে সাপের ছোবলে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।’’ আগামী কয়েক দিন সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে।

Nepal Nepal Flood Flood নেপাল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy