অধস্তনের সঙ্গে গোপনে প্রেম করার অভিযোগে চাকরি খোয়ালেন নেসলে সিইও লরেন্ট ফ্রেক্সি। সংস্থার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কার সঙ্গে লরেন্ট প্রেম করছিলেন, তা চিহ্নিত করতে পারেনি নেসলে। সংস্থার এক সূত্র ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে জানিয়েছে, এক্সিকিউটিভ বোর্ডের কোনও সদস্যের সঙ্গে লরেন্টের এমন কোনও সম্পর্ক ছিল না।
অধস্তনের সঙ্গে সিইও-র প্রেমের বিষয়ে গুঞ্জন ছড়াতেই অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু করে সুইৎজ়ারল্যান্ডের ওই সংস্থা। নেসলের চেয়ারম্যান পল বাকি এবং অন্যতম ডিরেক্টর পাবলো ইসলা ওই তদন্তের তদারকি করেন। এর পরেই সোমবার সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গোপনে প্রেম করার অভিযোগে লরেন্টকে সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নেসলে চেয়ারম্যানের কথায়, “এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। নেসলের মূল্যবোধ এবং সুষ্ঠু পরিচালন ব্যবস্থা আমাদের সংস্থার মূল ভিত্তি।” যদিও চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বিষয়ে লরেন্টের কোনও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কী ভাবে তদন্ত হয়েছে, তাতে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে কোনও বিস্তারিত মন্তব্য করেনি সংস্থাও।
সম্প্রতি এক মার্কিন সংস্থা অ্যাস্ট্রোনমারের তৎকালীন সিইও অ্যান্ডি বায়রনকে ঘিরেও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ব্রিটিশ রক ব্যান্ড কোল্ড প্লে-র একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সংস্থারই চিফ পিপ্ল অফিসার (এইচআর) ক্রিস্টিন ক্যাবট। কনসার্টে তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। সেই দৃশ্য আচমকা ভেসে ওঠে ‘কিস্ ক্যাম’ স্ক্রিনে। সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম ঘিরে বিতর্কের মাঝে সিইও পদ থেকে ইস্তফা দেন অ্যান্ডি। এ বার অধস্তনের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি খোয়ালেন নেসলে সিইও।
আরও পড়ুন:
১৯৮৬ সাল থেকে নেসলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লরেন্ট। সংস্থায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নেসলের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দায়িত্ব পান লরেন্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নেসলের সিইও পদে ছিলেন তিনি। এ বার লরেন্টকে সরিয়ে ওই পদে ফিলিপ নাভরাতিলকে নিয়ে আসছে নেসলে। ২০০১ সাল থেকে নেসলের সঙ্গে যুক্ত ফিলিপ। সম্প্রতি নেসলের ‘নেসপ্রেসো’ শাখার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। এ বার লরেন্টের জায়গায় তাঁকে নতুন সিইও করল নেসলে।