মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাস্ট্রোনমারের সিইও অ্যান্ডি বায়রন ইস্তফা দিলেন। সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর থেকে বিতর্ক চলছে। সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্য। সমালোচনার মাঝেই এ বার ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন বায়রন। সংস্থার বিবৃতি উল্লেখ করে এ কথা জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। বায়রনের ইস্তফার পর অ্যাস্ট্রোনমারের পরবর্তী সিইও কে হবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স নতুন সিইও-র খোঁজ চালাচ্ছে।
বায়রনকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত কিছু দিন আগে। মার্কিন রক ব্যান্ড কোল্ড প্লে-র একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সংস্থারই চিফ পিপ্ল অফিসার (এইচআর) ক্রিস্টিন ক্যাবট। কনসার্টে তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। সেই দৃশ্য আচমকা ভেসে ওঠে ‘কিস্ ক্যাম’ স্ক্রিনে। যা গোটা বিশ্ব দেখতে পায়। সিইও-র সঙ্গে সহকর্মীর সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় চর্চা। তাঁরা দু’জনেই অন্যত্র বিবাহিত। ফলে বিবাহ-বহির্ভূত এই সম্পর্ক সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কনসার্টের শয়ে শয়ে শ্রোতার ভিড়ে আচমকা তাঁদের মুখে আলো পড়েছে। কয়েক সেকেন্ড দু’জনেই থমকে গিয়েছিলেন। তার পর মুখ ঘুরিয়ে নেন। মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ঘটনার কথা স্বীকার করে বায়রনের একটি বিবৃতি প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু সংস্থার তরফে পরে জানানো হয়, তিনি কোনও বিবৃতি দেননি। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, অ্যাস্ট্রোনমার সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি দায়িত্বশীল। আশা করা হয়, আমাদের নেতারা তাঁদের আচরণের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। সম্প্রতি তা করা হয়নি।’’ অ্যাস্ট্রোনমার একটি তথ্য বিশ্লেষণ প্রযুক্তি সংস্থা (ডেটা অপারেশন কোম্পানি)। এই সংস্থা আগামী দিনে তথ্য বিশ্লেষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
ঘটনার পর বায়রনকে সংস্থার নেতৃত্বের পেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টও আর জনসমক্ষে (পাবলিক) নেই। তবে সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স-এর তালিকায় এখনও বায়রনের নাম রয়েছে।