ফাইল চিত্র
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উদ্যাপনের প্রাক্কালে নাগরিকদের উদ্দেশে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে শাসক দলের আর্জি, ‘দলকে মেনে চলুন’, ‘ভদ্র আচরণ করুন’। সেই বার্তা নিয়েই এখন ব্যানারে আর বিলবোর্ডে ছয়লাপ গলি থেকে রাজপথ।
১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভ থেকে শুরু করে সম্প্রতি উহানে করোনার খবর ফাঁসের ঘটনা— বজ্র আঁটুনির মধ্যেও বেসুরো হয়েছেন নাগরিকদের একাংশ। শক্তিধর রাষ্ট্রে আঞ্চলিক বৈষম্যের সুরও চিনের প্রাচীর ছাপিয়ে মাঝেমধ্যে বাইরে বেরিয়ে আসছে। শতবার্ষিকীর এই সময়েই প্রশ্ন উঠেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন নীতি নিয়েও। কখনও দমন নীতিতে তা সামলাতে হয়েছে কমিউনিস্ট নেতাদের, কখনও আবার ধুয়ো উঠেছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের। সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির উৎপত্তি ঘিরে দেশের প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিশ্ব। এই প্রেক্ষাপটেই কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষে নাগরিকদের উদ্দেশে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের পর্দায় বিজ্ঞাপনগুলি দেখে এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
দেশের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকাতেই নজরে পড়ছে বিজ্ঞাপনগুলি। ব্যানার জুড়ে বড় করে লাল রঙে লেখা ‘১০০’। সঙ্গে কমিউনিস্ট দলের প্রতীক। দলের শতবর্ষ পালন শুরু হলে যাতে কোনও রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না-হয়, তার জন্যেই সরকারের তরফে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এমনটাই মনে করছে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরা সংবাদমাধ্যমগুলিও।
যে সব জায়গায় বিলবোর্ডের দিকে সাধারণের নজর কাড়া সম্ভব নয়, সেখানে বিশাল ডিজিটাল স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। তাতে ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’র ছবি। সঙ্গে নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা, ‘তেজস্বী, যোগ্য, সাহসী এবং ন্যায়নিষ্ঠ বিপ্লবীদের নয়া প্রজন্ম গড়ে তুলুন।’
১ জুলাই থেকে শুরু হবে উদ্যাপন। তার আগে দলের তরফে এই প্রয়াস নজর কেড়েছে কূটনৈতিকদের। দলের প্রতিষ্ঠার কাহিনি নাগরিকদের সামনে তুলে ধরতে একটি ছায়াছবিও মুক্তির অপেক্ষায়। যেখানে দেখা যাবে চিনের বিনোদন জগতের পরিচিত মুখগুলিকে। আগামী মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। যে ভাবে নাগরিকদের উদ্দেশে বিজ্ঞাপনগুলি দেওয়া হয়েছে তাতে অনেকেই বলছেন, তা হলে কি ভিন্ন সুরকে এক অর্থে স্বীকার করে নিচ্ছে শি চিনফিং সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy