Advertisement
E-Paper

ব্রিটেন স্ট্রেনে ফের মিউটেশন, আতঙ্ক

আপাতত অস্ট্রেলিয়া থেকেই আসবে ওই কিট। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতি মাসে তারা প্রায় ১ লক্ষ কিট পাঠাবে।

শ্রাবণী বসু

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৩
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ফের মিউটেশন ঘটিয়ে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনাভাইরাসের ব্রিটেন স্ট্রেন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘনঘন চরিত্র বদলানো এই স্ট্রেনকে ঠেকাতে বাজার চলতি ভ্যাকসিনগুলি কার্যকর না-ও হতে পারে। এমনকি ব্যর্থ হতে পারে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিও। নয়া মিউটেশন ঘটানো ব্রিটেন স্ট্রেনটিকে ই৪৮৪কে নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় এই স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা বহু গুণ বেশি হওয়ায় ঘুম উড়েছে ব্রিটেন-সহ গোটা বিশ্বের। তাই যে ভাবেই হোক সংক্রমণ রুখতে মরিয়া ব্রিটেন সরকার। ইংল্যান্ডের যে আটটি এলাকায় ব্রিটেন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল, সেখানে মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা পরীক্ষা চালু করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক বলেন, কড়া হাতে তাঁরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে চান। প্রতিটি সংক্রমণের উৎস খুঁজে বার করাই লক্ষ্য। উপসর্গ থাকুক বা না-থাকুক, ১৬ বছরের বেশি সকলের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করানো হবে।

অন্য দিকে, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ থাকলে বা সংক্রমিতের সংস্পর্শে এলে, যাতে ঘরে বসে নিজেই নিজের করোনা পরীক্ষা করতে পারেন, তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার একটি সংস্থাকে ৮৫ লক্ষ র‌্যাপিড টেস্ট কিটের বরাত দিল আমেরিকা। সোমবার হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।

এই মুহূর্তে বিশ্বে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। যত দিন যাচ্ছে, সেখানে উপসর্গহীন রোগী তত বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই সকলের নাগালে র‌্যাপিড টেস্ট কিট আনতে চাইছে সদ্য ক্ষমতায় আসা জো বাইডেনের প্রশাসন। এই বিপুল বরাত দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এলিউম নামে একটি সংস্থাকে। কিট উৎপাদনের জন্য দেশে পুরোদস্তুর পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। তার জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে ২৩ কোটি ১৮ লক্ষ ডলারের একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিকাঠামো পেলে, মাসে ১ কোটি ৯০ লক্ষ পর্যন্ত টেস্ট কিট তৈরি করতে পারবে তারা।

অন্তত দু’ডজন সংস্থা এই ধরনের র‌্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেও এলিউমের তৈরি র‌্যাপিড কিটকেই প্রথম ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আপাতত অস্ট্রেলিয়া থেকেই আসবে ওই কিট। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতি মাসে তারা প্রায় ১ লক্ষ কিট পাঠাবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আমেরিকায় পরিকাঠামো তৈরি করে বাণিজ্যিক হারে উৎপাদন শুরু হতে হতে অন্তত মাস ছয়েক তো লাগবেই। তার জন্য জমি দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার বাইডেন সরকারের করোনা বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি স্লাভিট জানান, অন্য র‌্যাপিড টেস্ট কিটের তুলনায় এলিউমের তৈরি কিটের দাম অনেকটাই কম। খরচ পড়বে কিট প্রতি ৩০ ডলারের মতো।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি প্রতিষেধকটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯১.৬ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে।

England Corona Coronavirus New Corona Strain Mutant Strain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy