Advertisement
E-Paper

ফের নয়া স্ট্রেন, আতঙ্কে জাপান

জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, স্ট্রেনটি মিলেছে ব্রাজিল ফেরত চার জনের দেহে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:১১
তুষারপাতের মধ্যেই যাতায়াত। জাপানের তোয়োমা শহরে। পিটিআই

তুষারপাতের মধ্যেই যাতায়াত। জাপানের তোয়োমা শহরে। পিটিআই

এক নতুন করোনা স্ট্রেনের দেখা মিলল ফের। এ বার জাপানে।

জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, স্ট্রেনটি মিলেছে ব্রাজিল ফেরত চার জনের দেহে। বিমানবন্দরে পরীক্ষা করতে বছর চল্লিশের এক যুবক, ৩০-এর কোঠার এক তরুণী ও দুই কিশোর-কিশোরীর করোনা-পজ়িটিভ ধরা পড়ে। দেখা যায়, তারা যে স্ট্রেনে আক্রান্ত, সেটি অচেনা। ব্রিটেন বা দক্ষিণ আফ্রিকায় শোরগোল ফেলে স্ট্রেনও নয় এটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও অন্য কিছু দেশের সঙ্গে একযোগে স্ট্রেনটি সম্পর্কে জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে জাপান। নতুন আবিষ্কৃত প্রতিষেধকগুলি এই স্ট্রেনকে খতম করতে কার্যকরী কি না, তা জানা ভীষণই দরকার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যে যুবকের দেহে এই স্ট্রেনটি মিলেছে, জাপানের বিমানবন্দরে পা রাখার সময়েও তিনি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তরুণীর মাথা যন্ত্রণা রয়েছে। কিশোরটির গায়ে জ্বর রয়েছে। কিশোরীর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই।

ব্রিটেন বা দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন দু’টি আগেই ছড়িয়েছে জাপানে। অন্তত ৩০ জন আক্রান্ত। সে নিয়ে এমনিতেই আশঙ্কায় জাপান। কারণ স্ট্রেন দু’টি অতিসংক্রামক। এর মধ্যে তৃতীয় স্ট্রেনের আবির্ভাবে চিন্তায় প্রশাসন।

ও দিকে, করোনাভাইরাসের উৎস জানতে হু-র বিশেষজ্ঞ দলের চিনে যাওয়া আজ চূড়ান্ত হল। বৃহস্পতিবার চিনে পৌঁছবে তদন্তকারী দলটি। দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে হু-কে দেশে ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। চিনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্ত চালাবে হু-র দল। ঘটনাচক্রে গত বছর আজকের দিনেই চিনে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। এক বছরে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ১৯ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। ৯ কোটির উপরে সংক্রমণ।

এক বছরের মাথায় সুখবর এই যে প্রতিষেধক এসেছে। টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেন-সহ প্রথম সারির বহু দেশেই। আমেরিকার নয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ়টিও নিয়ে ফেললেন। তিন সপ্তাহ আগে প্রথম ডোজ়টি নিয়েছিলেন তিনি।

ব্রিটেন আজ থেকে ব্যাপক দ্রুততার সঙ্গে গণটিকাকরণ শুরু করল। দেশ জুড়ে নতুন সাতটি সেন্টার খোলা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া চলবে। সরকারের লক্ষ্য, এক সপ্তাহে অন্তত ২০ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া। এ সপ্তাহের শেষে আরও কিছু ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খুলবে। সব মিলিয়ে ১২০০ সেন্টার একযোগে কাজ করবে।

তথ্য সহায়তা: শ্রাবণী বসু

Japan Coronavirus Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy