বিদ্যুৎসরবরাহ করার যৌথ প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে দিল্লি। প্রতীকী চিত্র।
‘প্রতিবেশী প্রথম’, এই নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ভারতীয় এলাকা দিয়ে বাংলাদেশকে নেপালের বিদ্যুৎসরবরাহ করার যৌথ প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রাথমিক ভাবে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে রফতানি করার পরিকল্পনারয়েছে নেপালের। নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (ইএসি) জানিয়েছে, ভারতের বিদ্যুৎ পরিবহণের বর্তমান পরিকাঠামো ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎ পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে অগস্ট মাসেই চুক্তি হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে নেপালের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে ভারতের। এই সংক্রান্ত চুক্তিকে চূড়ান্ত করা হতে পারে সেই বৈঠকে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও শক্তি-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত সেপ্টেম্বরের ভারত সফরের সময়েই এই বিষয়ে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বাংলাদেশ এখনই ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। ঢাকার লক্ষ্য, নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৬৮৩ মেগাওয়াট সংকোশী-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার। এ কাজে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ভোট এগিয়ে আসছে। নেপালে তৈরি হয়েছে মাওবাদী নেতা প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক ভূকৌশলগত রাজনীতিতে এই দুই দেশকে নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ অক্ষের মধ্যে রাখাটা অগ্রাধিকার মোদী সরকারের। পাশাপাশি শক্তির ক্ষেত্রে ভারত নেপালের সঙ্গেও বড় মাপের সহযোগিতা করতে চায়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম বিদেশ সফরেই প্রচণ্ড নয়াদিল্লি আসতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চিনের কথা মাথায় রেখে নেপালের সঙ্গে শক্তি সমঝোতা ক্রমশ বাড়িয়ে তোলা নয়াদিল্লির কৌশলের মধ্যেও পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy