জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র সঙ্গে বোঝাপড়া করতে পারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল এনসিপির তরফে। সেখানে নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘এক দল সরকারি হতে চাচ্ছে, আরেক দল বিরোধী। এক দল ভারতে এক পা দিয়েছে, আরেক দল পাকিস্তানে। এগুলি সামনে আরও স্পষ্ট হবে। দেশের মানুষ সেটি দেখতে চায় না।’’ তবে জাতীয় সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) যে দাবি জামাত তুলেছে, তার বিরোধিতা করে নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘দলটির সংস্কার বিষয়ে পড়াশোনার ঘাটতি রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জামাত ও এনসিপি-র মতের মিল দেখা যাচ্ছিল। ফলে তাদের রাজনৈতিক জোট হিসেবেও মনে করা হচ্ছিল। আচমকাই তাল কাটে জুলাই সনদে সই করা না করা নিয়ে। সূত্রের খবর, এনসিপি নেতৃত্ব ধরে নিয়েছিলেন, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেলে জামাত জুলাই সনদে সই করবে না। সই না করার ব্যাপারে এনসিপি অনড় থাকলেও জামাত সিদ্ধান্ত বদল করে সনদে স্বাক্ষর করে। এর পরে জামাতকে নিশানা করে সমাজমাধ্যমে নাসিরুদ্দিন লিখেছিলেন, ‘‘প্রশাসনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ, বিভাজনের রাজনীতি বা ধর্মের নামে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা এই মাটিতে আর সফল হবে না। যে মাটিতে শহিদদের রক্ত মিশে, যে আকাশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি কখনওই স্থান পাবে না।’’