E-Paper

বাংলা নববর্ষ নিউ ইয়র্কের ক্যালেন্ডারে

এখানকার বাঙালি অভিবাসীদের মতে, তাঁদের ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে মূলধারার আমেরিকান সংস্কৃতির সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত করবে নিউ ইয়র্ক আইনসভার এই প্রচেষ্টা।

অভীক সানোয়ার রহমান

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এক বিরল স্বীকৃতি পেল নিউ ইয়র্কের প্রাণবন্ত বাঙালি সম্প্রদায়। নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেট আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৪ এপ্রিল, ২০২৫-কে বঙ্গাব্দ নববর্ষ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২০২৪ সালে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে এক বর্ণাঢ্য পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনে অংশ নিয়েছিলেন কয়েকহাজার ভারতীয় ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। দু’দেশ থেকে আসা এবং বর্তমানে আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙালিরা এই অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়ে তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐক্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সেই অনুষ্ঠানের পরেই নববর্ষ দিবসকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছে।

দিন কয়েক আগে নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটর লুইস আর সেপুলভেদা (কমিটি অন সিটিজ় ১-এর চেয়ারম্যান) এবং সেনেটর নাথালিয়া ফার্নান্দেজ় (অ্যালকোহলিজ়ম ও সাবস্ট্যান্স ইউজ ডিজ়অর্ডার কমিটির চেয়ার) এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এতে নিউ ইয়র্কে বসবাসকারীবাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।৯ এপ্রিল সেনেট অধিবেশনের সমাপ্তি। তার ঠিক দু’দিন আগে, ৭ এপ্রিল, নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটের গভর্নর ক্যাথি হোকুলেরনেতৃত্বে সেনেট হাউসে আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গাব্দ নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এই প্রথম নিউ ইয়র্ক আইনসভা আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদেরচেম্বারে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করবে। এখানকার বাঙালি অভিবাসীদের মতে, তাঁদের ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে মূলধারার আমেরিকান সংস্কৃতির সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত করবে নিউ ইয়র্ক আইনসভার এই প্রচেষ্টা।

সেনেটর সেপুলভেদা এবং সেনেটর ফার্নান্দেজ়ের এই প্রস্তাবে বাংলা ভাষাভাষীদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও স্বাধীনতার জন্য তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং এ দেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাঙালি সম্প্রদায়ের ব্যবসা, শিক্ষা, শিল্প ও জনসেবায় অবদানের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আমেরিকায় বাংলা সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। নিউ ইয়র্কের সরকারি ক্যালেন্ডারে বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়াকে এক পরম প্রাপ্তি বলে মত এই মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

new york

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy