প্রায় ছ’মাস পরে মুখ খুলেই গত কাল জোড়া বোমা ফাটাল আইএসের মুখপাত্র আবু হাসান আল-মুজাহির। সিরিয়া থেকে সেনা সরানোর কথা ঘোষণা করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘এখন তো আইএস কোণঠাসা। ওদের কোথাও কোনও অস্তিত্বই নেই।’’ কার্যত তারই জবাবে ওয়াশিংটনকে কটাক্ষ করে আবু হাসানকে বলতে শোনা গেল, ‘‘নিউজ়িল্যান্ডের মসজিদে ৫০ জন মুসলিমকে মারার বদলা নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এ বার আমাদের জেগে উঠতেই হবে। বদলা চাই। আমাদের অস্তিত্ব আছে, না নেই— এ বার সেই ভুলটাও ভাঙানো দরকার।’’
কাল একটি ৪৪ মিনিটের একটি অডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করে আইএস মুখপাত্র দাবি করেছে, নিউজ়িল্যান্ডের ওই শ্বেত সন্ত্রাস আসলে তাদেরকেই ঘুরিয়ে আঘাত। সিরিয়ার প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানে আর মাত্র একটি গ্রাম বাঘুজে ঘাঁটি রয়েছে আইএসের। সেই গ্রামে বাহিনীর হাতে কী ভাবে তাদেরও মার খেতে হচ্ছে তা ব্যাখা করতে গিয়ে আবু হাসান বলে, ‘‘গ্রামে মুসলিমদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারছে ওরা। কোথাও আবার নির্বিচারে বোমা মারছে। সব শেষ করে দিতে চাইছে।’’ কিছু শহরের ছবিও একই রকম বলে দাবি করে সে জানায়— মুসলিম মানেই যৌথ বাহিনীর চোখে হয় জঙ্গি, নয় জঙ্গির আত্মীয়।
অডিয়ো-বার্তায় সে আগাগোড়া যে ভাবে আমেরিকাকে নিশানা করেছে, ওয়াশিংটন তা নিয়ে মুখ না-খুললেও, বিষয়টা ভাবাচ্ছে অনেককে। তবে কে এই আবু হাসান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। আইএসের শীর্ষ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির মতো এরও বহু বার মৃত্যুসংবাদ শোনা গিয়েছে। অথচ এর পর মাঝে মাঝেই মিলেছে তার অডিয়ো-ক্লিপ। কিন্তু আইএসের কোনও ভিডিয়ো কিংবা ছবিতে আজ পর্যন্ত তাকে দেখা যায়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিকে খবর মিলেছে, সিরিয়ার সেই গ্রাম বাঘুজ অর্থাৎ আইএসের শেষ শক্ত ঘাঁটিতে আজ জঙ্গিদের একটি শিবির পুনর্দখল করেছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরীয় বাহিনী। তবে এখনই একে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চূড়ান্ত জয় বলতে নারাজ বাহিনী। কুর্দ নিয়ন্ত্রিত সেনার মুখপাত্র মুস্তাফা বালি টুইটারে লেখেন, ‘‘বাঘুজের বহু এলাকায় এখনও সেনা-জঙ্গি যুদ্ধ চলছে। এর শেষ দেখেই ছাড়ব।’’