শোকপালনের পর বেরিয়ে আসছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যার্ডার্ন। শুক্রবার, ক্রাইস্টচার্চে। ছবি- রয়টার্স
মসজিদে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েও শুক্রবারের নমাজ পাঠ থামিয়ে দিতে পারেনি জঙ্গিরা। শুধু ক্রাইস্টচার্চের সেই আল নুর মসজিদেই নয়, শুক্রবারের নমাজে গোটা নিউজিল্যান্ডের মসজিদে মসজিদে শামিল হয়েছেন শোকস্তব্ধ অসংখ্য মানুষ। নির্ভয়ে। সপ্তাহখানেক আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও পাশের একটি মসজিদে জঙ্গির নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারান ৫০ জন মানুষ। যাঁদের বেশির ভাগই ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, তুরস্ক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থী বা উদ্বাস্তু। ইমাম বলেছেন, ‘‘যে ভাবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, শোকসন্তপ্তদের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তা গোটা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত।’’
সেই দিনটির স্মরণে এ দিন আল নুর মসজিদের সামনে হাগ্লে পার্কে সমবেত হয়েছিলেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। শোকপালনের জন্য। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যার্ডার্ন বলেন, ‘‘প্রতিবাদে, প্রতিরোধে, শোকপালনে আমরা সবাই আজ একজোট। আপনাদের সঙ্গে শোকপালন করছে গোটা নিউজিল্যান্ড।’’ এর পরেই দু’মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করা হয়। যাতে শামিল হন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও।
শোকসন্তপ্ত মুসলিমদের উদ্দেশে ইমাম গামাল ফাওদা বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় আমাদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি। আমরা টিঁকে রয়েছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রয়েছি। কেউ আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারবে না। অত মানুষের রক্তধারা বৃথা যাবে না। সেই রক্তধারাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নতুন আশার বীজকে বাড়িয়ে তুলবে।’’
আরও পড়ুন- ওর নাম নেবো না, বললেন জেসিন্ডা
আরও পড়ুন- মসজিদে হামলার বদলা চায় আইএস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy