নীরব মোদী
তিনি নিপীড়নের শিকার। রাজনৈতিক আশ্রয় চান। রবিবারই এই আর্জি জানিয়েছিলেন নীরব মোদী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি ভাবে ব্রিটেন নিশ্চিত করে জানিয়ে দিল, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির নায়ক ইংল্যান্ডেই রয়েছেন। অন্য দিকে, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির আর্জি জানিয়ে সোমবারই ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। সরকারি ভাবে ব্রিটেনের ঘোষণা এবং সিবিআইয়ের চিঠির পর চাপে নীরব মোদী। একইসঙ্গে সাঁড়াশি চাপে নীরব-মেহুলকে দেশে ফেরানো যাবে বলে আশা বাড়ছে নয়াদিল্লির।
রবিবারই ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন নীরব মোদী। তার পরের দিনই নয়াদিল্লিতে সন্ত্রাসদমন বিষয়ে বৈঠক হয় দু’দেশের। সেখানে হাজির ছিলেন ব্রিটেনের সন্ত্রাসদমন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস উইলিয়ামস, ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই রিজিজুকে উইলিয়ামস নিশ্চিত করেছেন, রত্ন ব্যবসায়ী নীরব মোদী এবং তাঁর মামা মেহুল চোক্সী ব্রিটেনেই রয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁদের কাছে তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি, দু’জনকে ভারতে ফেরাতেও তাঁরা সব রকম সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন উইলিয়ামস। তবে মামা-ভাগ্নে রত্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরুর আগে লন্ডন সেই তথ্য আরও যাচাই করে নিতে চায় বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ সন্ত্রাসদমন বিষয়ক মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠিয়ে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির আর্জি জানিয়েছে পিএনবি কেলেঙ্কারির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রেড কর্নার নোটিস জারি হলে ইন্টারপোলের সদস্য যে কোনও দেশ নীরব মোদীকে গ্রেফতার এবং তাকে প্রত্যর্পণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত বাড়ি ভাঙতে গিয়ে মিলল রাজার আমলের রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা!
আরও পড়ুন: নীরব নাকি নিপীড়নের শিকার! ব্রিটেনের কাছে চাইছেন রাজনৈতিক আশ্রয়
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ কোটির ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি ও তাঁর মামা তথা ব্যবসার সহযোগী মেহুল চোক্সী। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মামা-ভাগ্নে ব্রিটেনে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর মিললেও নয়াদিল্লি সরকারি ভাবে সে কথা মানতে চায়নি। এ বার ব্রিটেন সরাসরি সেই তথ্য নিশ্চিত করায় ভারতের উপর তাঁদের দেশে ফেরানোর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy