জোড়া অভিযোগে বিদ্ধ উত্তর কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার জাপান জানিয়েছে, বিষাক্ত সারিন গ্যাস ভরা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
দ্বিতীয় অভিযোগটিও যথেষ্ট গুরুতর। পিয়ংইয়ংয়ের উপর নজরদারি সংস্থা ৩৮ নর্থ জানিয়েছে, ষষ্ঠ পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রস্তুত দেশটি। তোড়জোড় একেবারে শেষের মুখে।
সিরিয়ায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস হামলার পর পরই উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে নৌবহর পাঠিয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। যার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকাকেও পাল্টা এক হাত নিতে ছাড়েননি প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। মনে করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এখন চিনকে হাতে রাখার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই ঘটনার পর পরই জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দাবি করলেন, উত্তর কোরিয়াও যে কোনও দিন জাপানের উপর সারিন গ্যাস হামলা চালাতে পারে।
বৃহস্পতিবার আবে বলেন, ‘‘আমরা সিরিয়া নিয়ে কথা বলছি। অথচ, উত্তর কোরিয়ারও ক্ষমতা আছে, সারিন গ্যাস হামলা চালানোর।’’ তবে ঠিক কী ধরনের প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এ কথা বলছেন, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও জাপানের এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ১৯৮০ সাল থেকে রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার মজুত করছে উত্তর। তারা বলছে, বর্তমানে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ২৫০০ থেকে ৫০০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। ২০১২ সালের একটি রিপোর্টে আমেরিকাও জানিয়েছিল, বহু দিন ধরে রাসায়নিক কর্মসূচি চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের ভাণ্ডারে প্রাণঘাতী নার্ভ গ্যাস রয়েছে।
সম্প্রতি কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং নামকেও বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে।