চার দিনের বাংলাদেশ সফর সেরে গেলেন পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জ়া। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ফেরারসময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিড়ম্বনায় পড়লেন তিনি এবং অস্বস্তিতে ফেললেন মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে। পাক সেনাকর্তার মালপত্রের (লাগেজ) মধ্যে মিলেছিল একটি নকল রাইফেল (ডামি অ্যাসল্ট রাইফেল)।
আন্তর্জাতিক প্রোটোকল অনুযায়ী, এই ধরনের অস্ত্র-সদৃশ জিনিসপত্র বহনের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার কোনওটাই করা হয়নি। ফলে প্রোটোকল ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
চলতি মাসের ২৪ তারিখ চার দিনের বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন শামশাদ। ২৮ অক্টোবর তিনি, তাঁর স্ত্রী ও তিন সহযোগী অফিসার-সহ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটে দুবাই হয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরের কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) গেটে যখন অতিথিদের মালপত্র স্ক্যান করা হচ্ছিল, তখন একটি ‘ভারী লাগেজ’ ইলেকট্রনিক স্ক্যানারে ধরা পড়ে। সামরিক নিরাপত্তা সূত্রের খবর, বস্তুটি একটি উপহারের প্যাকেজে ছিল। খোলা হলে দেখা যায়, সেটি একটি স্মারক রাইফেল।
শামশাদের সঙ্গে থাকা পাক সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, এটি একটি স্মারক অস্ত্র। গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এটি জেনারেল মির্জ়াকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেটি ছিল ৭.৬২ মিমি বোরের একটি বিডি-০৮ রাইফেল, তবে এতে কোনও ফায়ারিং পিন ছিল না। অর্থাৎ ওই স্মারক রাইফেলটি কার্যকর ছিল না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)