সব ধরনের সন্ত্রাসের মোকাবিলায় পাকিস্তানের পাশে থাকার কথা জানালেন। কিন্তু সেই সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই তুললেন পাকিস্তানে থাকা চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার প্রসঙ্গও। ফলে চিন সফরে একই সঙ্গে প্রশংসা ও অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী পর্বে আসিমই কূটনীতির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মুখ হয়ে উঠেছেন। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সাম্প্রতিক সংঘাতের সময়ে যে চিন পাকিস্তানকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে তা স্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাও। ফলে মুনিরের চিন সফরের উপরে নজর রয়েছে দিল্লি-সহ গোটা কূটনৈতিক শিবিরের।
চিনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চিনা সামরিক বাহিনীও চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে মৈত্রীর কট্টর সমর্থক। অন্য দিকে মুনির বলেছেন, চিন ও পাকিস্তানের মৈত্রী লৌহদৃঢ়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ সামরিক ভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। ফলে তারা তাদের সব আবহাওয়ার মিত্র চিনের সঙ্গে সামরিক কূটনীতির গতি বাড়াতে আগ্রহী।
কিন্তু মুনিরকে অপ্রিয় প্রশ্নের মুখেও ফেলেছেন ওয়াং। সম্প্রতি পাকিস্তানে বেশ কয়েক জন চিনা নাগরিক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন। ফলে সে দেশে চিনা কর্মী, প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াং। চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে নানা চিনা সংস্থা। ২০২৪ সালের অক্টোবরে করাচি বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন দুই চিনা ইঞ্জিনিয়ার। সেই বছরেই মার্চে উত্তর পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন পাঁচ জন চিনা কর্মী। চিনা কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য পাক সেনা উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলে চিনকে আশ্বাস দিয়েছেন মুনির।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)