Advertisement
E-Paper

আমেরিকার বার্তার পরে বিরল খনিজেই ভরসা পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, দাবি: এতেই কমবে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা

পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার নতুন করে এই আগ্রহ যতটা না তেলের জন্য, তার চেয়েও বেশি বিরল খনিজের জন্য হতে পারে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের ঋণের বোঝা কমাতে সেই বিরল খনিজের উপরেই ভরসা রাখছেন পাক সেনাপ্রধান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৫৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। —ফাইল চিত্র।

ইসলামাবাদের ঘাড় থেকে ঋণের বোঝা কমাতে এ বার বিরল ধাতুর উপর বাজি রাখতে চাইছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। পাকিস্তানি এক সংবাদপত্র নিবন্ধে মুনির এমনটাই দাবি করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের কাছে বিরল ধাতুর সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদের ফলে পাকিস্তানের ঋণ কমবে। শীঘ্রই সমৃদ্ধ বিশ্বের মধ্যে গণ্য হবে পাকিস্তান।’ আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক চুক্তির পরে মুনিরের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

সম্প্রতি পাকিস্তানের ‘বিশালাকার তৈলভান্ডার’ নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের নজর আদৌও ইসলামাবাদের তৈলভান্ডারের দিকে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার নতুন করে এই আগ্রহ যতটা না তেলের জন্য, তার চেয়েও বেশি বিরল খনিজের জন্য হতে পারে। পাকিস্তানে বিরল খনিজের এক বিশাল এবং অনাবিষ্কৃত ভান্ডার মজুত রয়েছে বলে মনে করা হয়। যা বৈদ্যুতিন এবং সামরিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তানের বিরল খনিজের দিকেও ট্রাম্প প্রশাসনের নজর থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তেলের মতোই পাকিস্তানের বেশির ভাগ খনিজ সম্পদই অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছে। ফলে সেগুলিকে কাজে লাগানো কঠিন হতে পারে। তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনির এই বিরল খনিজের ভরসাতেই পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙা করতে চাইছেন।

এ প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের অর্থনীতিকে মজবুত করে রেকো ডিক খনি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেছেন মুনির। বস্তুত, পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে মাটির নীচে প্রচুর সোনা এবং তামা মজুত রয়েছে মনে করা হয়। তবে এ বিষয়ে প্রমাণিত তথ্য খুব বেশি নেই। সেই সবের খোঁজেই রেকো ডিক নামে একটি খনিপ্রকল্প রয়েছে পাকিস্তানের। সম্প্রতি মার্কিন আধিকারিকেরা পাকিস্তানের খনিজ সম্পদ নিয়ে আগ্রহ দেখানোর পরেই মুনিরের এই মন্তব্যের ফলে বিষয়টির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। ওই শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি লেখেন, “অদূর ভবিষ্যতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং হাইড্রোকার্বন-সহ বিভিন্ন খাতে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যও উন্মুখ। এতে আমেরিকা ও পাকিস্তান— উভয়েরই ভবিষ্যত আরও সমৃদ্ধ হবে।’’ রুবিয়ো জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের কথাও ভাবছে আমেরিকা।

Pakistan Pakistan Army Chief Field Marshal Asim Munir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy