আরও পড়ুন: আমেরিকায় ছাত্র হেনস্থায় অভিযুক্ত বাঙালি অধ্যাপক
কৃষ্ণাকে কেন প্রভাবশালী তালিকাভুক্ত করা হল?
কারণটা লুকিয়ে রয়েছে কৃষ্ণার জীবন সংগ্রামে। শৈশবের তিন বছর জোরজবরদস্তি বন্ডেড লেবার (বাঁধা শ্রমিক) হিসাবে কাটাতে হয়েছিল কৃষ্ণাকে। সে সময়টা ছিল নিজের সঙ্গে লড়াই। আর বাঁধা শ্রমিক হিসাবে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তাঁর লড়াই শুরু হয় অন্যদের জন্য। তাঁর মতো যাঁরা বাঁধা শ্রমিকের কাজ করেন তাঁদের জন্য, মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য। সে লড়াইয়ের জোরেই কৃষ্ণা চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তান পার্লামেন্টের আপার হাউসের পাকিস্তান পিপলস পার্টির সেনেটর নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: এক রাতে ৫০০০ বিয়েবাড়ি, জ্যামে নাভিশ্বাস উঠল দিল্লির
আর এই লড়াই তাঁকে যে জনপ্রিয়তা এবং পাকিস্তানের জনগণের সমর্থন জুগিয়েছে, সেটাই তাঁকে বিশ্বের প্রথম ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলা করে তুলেছেন।
এই তালিকায় বিল ক্লিন্টনের মেয়ে চেলসি ক্লিন্টনও রয়েছেন। সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের জন্য ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন তিনি। তালিকায় ৩৩ নম্বরে রয়েছেন সুন্দরবনের বাসিন্দা মীনা গায়েন এবং ৭৩ নম্বরে রয়েছেন কেরলের বাসিন্দা ভিজি পেনকোট্টু। মীনা দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের মানুষদের জন্য কাজ করছেন আর ভিজি কেরলের মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়ছেন। তালিকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী নাইজেরিয়ার আবিসোয়ে আজায়ি আকিনফোলারিন। দ্বিতীয় বাহরাইনের এসরা আল শাফে, তৃতীয় রাশিয়ার সোয়েতলানা আলিকসেভা। কৃষ্ণা কুমারী রয়েছেন ৪৮ নম্বরে এবং চেলসি ক্লিন্টন ২০ নম্বরে।