কম্যান্ডোর পর এবার সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করল পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এক ব্রিগেডের সমান প্রায় ২০০০ পাক সেনা মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ। আর গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরই তাদের কার্যকলাপের উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা।
৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক সেক্টর থেকে প্রায় প্রতিদিন অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা। পাল্টা কড়া জবাব দিচ্ছে ভারতও। এর পাশাপাশি ১০০ এসএসজি কম্যান্ডো মোতায়েন করেছে ইসলামবাদ। চলছে জঙ্গি ঢোকানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা। এমনকি, গুজরাত উপকূলে স্যার ক্রিক দিয়ে জঙ্গি বা কম্যান্ডো ঢোকানোর চেষ্টাও হয়েছিল বলে খবর। এ বার সরাসরি বিপুল সংখ্যায় সেনা মোতায়েন।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ এলাকা থেকে সম্প্রতি প্রায় ২০০০ সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে বাগ এবং কোটি সেক্টরেতারা ঘাঁটি গেডে়ছে। সেনার একটি পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, ‘‘বর্তমানে আক্রমণাত্মক মেজাজে মোতায়েন করা হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে তাদের গতিবিধির উপর।’’
সেনা সূত্রে আরও খবর, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনকে কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তান। এমনকি, প্রশিক্ষণ ও ভারতবিরোধী কার্যকলাপের পরিকাঠামোও তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু সীমান্তের এ পারে কাশ্মীরে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন থাকায় উপত্যকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ। তাই এ বার আফগানিস্তান থেকে যুবকদের জঙ্গি দলে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি।
আরও পডু়ন: ভারতের ৭০ কিমি ভিতরে ঢুকে ব্রিজ বানিয়েছে চিন! অরুণাচলের সাংসদের দাবি ওড়াল সেনা
আরও পডু়ন: যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ঘোষণা রিজিজুর
নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের ১০০ এসএসজি কম্যান্ডো মোতায়েন করার খবর আগেই পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের দিক থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনার গোলাবর্ষণ চলছিল। জবাবি গোলাবর্ষণে অন্তত ১০ জন কম্যান্ডোর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে এই বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয় ভারতীয় সেনা কর্তাদের কাছে।