পাক সেনার মদতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গিঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে— ভারতের এই দাবিকে খণ্ডন করতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণরেখায় নিয়ে গেল পাকিস্তান সরকার। ভারত যেগুলিকে জঙ্গিঘাঁটি বলে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলি আদতে মানুষের বসতি বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিয়ে পাকিস্তানের দিকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যান সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি ভারতের জঙ্গিঘাঁটি সংক্রান্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে খারিজ করে দেন। দাবি করেন যে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় দায়বদ্ধ ইসলামাবাদ।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পাকিস্তানের পরাজয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশের পর ভারত-পাক শিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মাধ্যমেই ভারত এবং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি নির্ধারিত হয়েছিল।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে শিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান। অবশ্য চুক্তি বলবৎ থাকার সময়েও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সোমবার ভোর পর্যন্ত টানা ১১ দিন জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতের দিকে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।