—প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া পাকিস্তান আঙুল তুলছে ভারতেরই দিকে।
ইমরান খানের আমলে জইশ-ই-মহম্মদের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ উঠেছে আগেই। কিন্তু পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে হামলার পরে পাকিস্তানের বক্তব্য, ২০০২ সালে জইশ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপই করে চলেছে তারা। বরং নিজেদের নিরাপত্তার খামতির দিকটি নিয়ে না-ভেবে ভারত বরাবরের মতোই পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলছে। গত ১৪ তারিখের হামলার পরেই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের উপর থেকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) তকমা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিল ভারত। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা আব্দুল রজ্জাক দাউদের দাবি, এই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এখনও সরকারি ভাবে পাকিস্তানকেই জানায়নি দিল্লি।
জইশ-যোগের অভিযোগ নিয়ে ইসলামাবাদে সরব হয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল। তিনি বলেছেন, ‘‘২০০২ থেকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ জইশ। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে। অথচ হামলা হওয়ার একটু পরেই কোনও তদন্ত না-করে পাকিস্তানের ঘাড়ে অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সাজানো অভিযোগ অতীতেও তোলা হয়েছে।’’
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ যাদের জঙ্গি বলেছে, তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে থেকেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। জইশের নেতারা পাকিস্তানেই আছেন।’’ হামলার পরেই আত্মঘাতী জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ দারের বক্তৃতার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু ফয়সল ভারতের বিরুদ্ধেই উল্টে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘‘কুলভূষণ যাদবের স্বীকারোক্তির ভিডিয়োকে ‘জাল’ বলেছিল ভারত। অথচ (আদিলের) এই ভিডিয়োটিকে যাচাই না-করেই সেটিকে সত্যি বলে মেনে নিল!’’
‘এমএফএন’ তকমা তোলা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা দাউদ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথাও হতে পারে।’’ তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো মঞ্চে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ভারত-পাকিস্তান দু’দেশই ওই গোষ্ঠীর সদস্য। ‘এমএফএন’ তকমা প্রত্যাহারের পরেই ভারতে রফতানি হওয়া সমস্ত পাকিস্তানি পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দাউদ বলেন, ‘‘আমরা বাড়াবাড়ি কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাব না। একপাক্ষিক, দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক— সব রাস্তাই খোলা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy