প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
পাকিস্তানে দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ, জোর করে ধর্মান্তরণ ও বিয়ের অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ওই দুই কিশোরীকে দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে। তবে পরিবারের কাছে নয়, আপাতত দু’জনকে প্রশাসনের হেফাজতে রাখারই নির্দেশ দিয়েছে আদালতে।
হোলির দিন সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলায় রিনা (১৫) ও রবিনাকে (১৩) অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাদের বিয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পাকিস্তানের হিন্দুরা। কিশোরীরা পরিবারের শাসন এড়াতে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে ধন্দ বাড়ে। তাদের দাবি ছিল, পরিবারের হাতেই তারা খুন হতে পারে। সেই আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার দুই বোনের নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তিনি টুইট করেছেন, দুই নাবালিকাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সুষমা লিখেছেন, ‘‘মেয়ে দু’টির বয়স নিয়ে কোনও ধন্দ নেই। রবিনা ১৩ ও রিনা মাত্র ১৫ বছরের। এমনকি নয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও বিশ্বাস করবেন না যে এত কম বয়সে কেউ ধর্ম পরিবর্তন ও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy