ধারাবাহিক ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে নিজের দেশেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে। আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “তোষামোদ করা নিয়ে যদি অলিম্পিক্সের আয়োজন করা হত, তা হলে সোনা জেতার বিষয়ে এগিয়ে থাকতেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।”
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক বার ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলা সামরিক সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানও একই দাবি করেছে। এমনকি তার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নামও প্রস্তাব করেছে শাহবাজ়ের সরকার।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে কম্বোডিয়া এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছেন ট্রাম্প। তার পরেই সমাজমাধ্যমে ট্রাম্পের প্রশংসা করে শাহবাজ় লেখেন, “শান্তি এবং কূটনীতির ক্ষেত্রে আরও একটি ঐতিহাসিক দিন। কুয়ালা লামপুর চুক্তি, গাজ়া চুক্তি, পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি ধন্যবাদ জানাই।” কয়েক দিন আগেই শাহবাজ় ট্রাম্প প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি সত্যিই মনে করি যে, উনি (ট্রাম্প) শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সবচেয়ে ভাল দাবিদার।” ট্রাম্পকে ‘মহৎ প্রেসিডেন্ট’ আখ্যায় ভূষিতও করেন তিনি।
কূটনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা পাকিস্তান ট্রাম্পের প্রশংসা করে আমেরিকার সঙ্গে নৈকট্য বৃদ্ধি করতে চাইছে। সেই হিসাবে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে এ বার প্রাক্তন কূটনীতিকের খোঁচা খেতে হল স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রীকে।