ফাইল ছবি।
একের পর এক টিকা বাজারে এসে গেলেও অতিমারির সমস্যা দ্রুত মেটার আশা দূরঅস্তই। তার ফলে, গত বছরের মতোই করোনা আতঙ্কে এ বছরটাও কাটাতে হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
তাঁদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস নতুন নতুন মিউটেশনের মাধ্যমে দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলছে। হালে করোনা পরিবারের এক নতুন অবতার এসেছে। তার দাপাদাপিও শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রিটেন-সহ বেশ কিছু দেশে। বাজারে আসা টিকাগুলি এখনও পর্যন্ত তার মোকাবিলা করতে পারলেও কত দিন তা পারবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। আগামী দিনে করোনা পরিবারের আরও নতুন অবতার আসতে পারে। তাদেরও মোকাবিলা করার ক্ষমতা বাজারে চালু টিকাগুলির থাকবে কি না, সেটাও নিশ্চিত হয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেল্থ (এনআইএইচ)’-এর অধিকর্তা ফ্রান্সিস কলিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা খুবই উদ্বেগে রয়েছি। মনে হচ্ছে, এই ভাইরাসটির আরও অনেক মিউটেশন হবে। তার মানে, আরও নতুন নতুন অবতার আসবে এই ভাইরাসের। তাদের মোকাবিলা করতে বাজারে চালু টিকাগুলি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।’’
ব্রিটেনে ভাইরাসটির একটি নতুন অবতার আসার পর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তার আর একটি প্রকারের হদিশ মিলেছে। ভাইরাসটির নতুন রূপ দেখা গিয়েছে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনা ও মেরিল্যান্ডেও। আমেরিকায় প্রথম করোনার সেই নতুন অবতারের হদিশ মিলেছিল গত বৃহস্পতিবার। দু’জনের শরীরে। সাউথ ক্যারোলিনায়। শনিবার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরেও ওই নতুন প্রকারের হদিশ মিলেছে আরও এক জনের শরীরে।
বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, করোনাভাইরাস যে ভাবে দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলছে, তাতে সেই নতুন নতুন অবতারগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাজারে চালু টিকাগুলি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পুরোপুরি সফল হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ, গবেষক ও টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি টিকা বানাচ্ছেন ভাইরাসটির জিনের পরিচিত কাঠামোর উপর ভিত্তি করে। সেই কাঠামো বদলে গেলে এই টিকাগুলি কার্যকর না-ও হতে পারে। না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে, যেহেতু আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ধোঁকা দিতেই তাদের জিনের কাঠামো দ্রুত বদলে ফেলে যে কোনও ভাইরাসই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy