দু’সপ্তাহ ধরে সমানে অসংখ্য প্রশ্ন আর মন্তব্যের সামনে পড়ছি। সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ বা সোজাসুজি ফোনে। ঘুরে-ফিরে সকলের মুখেই এক কথা— কী প্রয়োজন চিনে পড়ে থাকার। ইঁদুর-বাদুড় ভাজা খায় এ-দেশের মানুষজন। এই করোনা-আতঙ্কে বাঙালির ছেলের সেখানে থাকার দরকার কী!
কর্মসূত্রে চিনের সাংহাই শহরেই আমার দ্বিতীয় ঘর। বললেই তো আর ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না। আর সত্যি কথা বলতে কী, এখানকার সবাই ইঁদুর-বাদুড় খান, এ কথাটাও ঠিক নয়। চিনের কিছু কিছু জায়গায় কাঁচা বা কম রান্না করা জিনিস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ‘লাইভ মার্কেট’ বা ‘জ্যান্ত খাবারের রেস্তরাঁ’র সংখ্যা আস্তে আস্তে কমে আসছে। আর এখানে আমার মতো প্রবাসীরা তো কাঁচা খাবার বা বাদুড় ভাজা ভুলেও চেখে দেখেন না! তাই সংক্রমণের মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গে গুজবের মোকাবিলাও করতে হচ্ছে আমাদের।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে এত মারাত্মক চেহারা নেবে, সার্সের থেকে এই সংক্রমণে মৃত্যু অনেক বেশি হয়ে যাবে, তা মনে হয় কেউই বুঝতে পারেনি। সাধারণ মানুষ তো নয়ই, প্রশাসনও নয়। কিন্তু সরকার যে ভাবে সব কিছু সামলানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।