E-Paper

পুজোর ক’টা দিন মণ্ডপেই কেটে যায়

প্রতি বছরই ডুসেলডর্ফে দুর্গাপুজো আয়োজিত হয় পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে। নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুরমশাইরা কলকাতা থেকে পৌঁছে যান।

সুদেষ্ণা দে

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৮
An image of Durga Puja

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সুদূর জার্মানির শিল্পসমৃদ্ধ প্রদেশ নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার রাজধানী ডুসেলডর্ফ ও তার আশপাশের শহরে দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু হয়ে যায় পুজোর চার-পাঁচ মাস আগে থেকেই। রোজকার ব্যস্ততার মধ্যে সপ্তাহান্তে পাওয়া দিনগুলো বরাদ্দ থাকে পুজোর পরিকল্পনার জন্য।

গত কয়েক বছর ডুসেলডর্ফে দু’টি দুর্গাপুজো আয়োজিত হচ্ছে। ডুসেলডর্ফ-এসেন-ডুইসবুর্গের মতো কয়েকটি শহরের সংস্কৃতিমনস্ক বাঙালি তথা ভারতীয়দের নিয়ে গঠিত ‘ইচ্ছে ক্লাব’ পরিচালিত হিল্ডেন শহরে আয়োজিত রাইন রুয়র দুর্গোৎসব এবং ডুসেলডর্ফ বিমানবন্দরের কাছে ‘ইন্ডিশে গেমাইন্ডে ডুসেলডর্ফ’ (ডুসেলডর্ফের প্রবাসী ভারতীয়)-এর দুর্গাপুজো। দু’টো পুজোই ডুসেলডর্ফ ও তার আশপাশের শহরের বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুজোর ক’টা দিন মণ্ডপগুলিতে উৎসাহী মানুষের সমাগম দেখলেই তার প্রমাণ মেলে।

প্রতি বছরই ডুসেলডর্ফে দুর্গাপুজো আয়োজিত হয় পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে। নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুরমশাইরা কলকাতা থেকে পৌঁছে যান। পুজোয় আমন্ত্রিত ও আগত সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এখানকার এই পুজো হয়ে ওঠে নিজেদের বাড়ির পুজোর মতো। ফুল দিয়ে মালা গাঁথা, শ্রী গড়া, পুজোর জোগাড়, প্রসাদ বিতরণ আর একটু গল্পগুজব করতে গিয়ে পুজোর কাজে একটু দেরি করে ফেললেই ঠাকুরমশাইয়ের বকুনি আনন্দে আলাদা মাত্রা যোগ করে।

মহাষষ্ঠীর ঘটস্থাপন দিয়ে শুরু হয় উৎসব। সপ্তমীর সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ— কোথাও ডান্ডিয়া নাচ বা কোথাও রবীন্দ্রনৃত্যনাট্য। মহাষ্টমী ও মহানবমীতে সকালে পুষ্পাঞ্জলি ও বিকেলে বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তা ছাড়া, প্রতিদিনের মহাভোজ তো আছেই।

দশমীতিথির বিদায়বেলায় মঙ্গলময়ী মায়ের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে আবার অপেক্ষায় থাকা, আগামী বছরের জন্য।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Germany Drga Puja Preparations

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy