সামুদ্রিক ঝড় ‘তেমবিন’-এ লন্ডভন্ড দক্ষিণ ফিলিপিন্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার রাতে আরও কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। কাদার স্রোতে ঢেকেছে একটি গ্রাম। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। নিখোঁজ ১৪৪। বাস্তুহারা হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি। দেশের দক্ষিণাংশের বেশ ক’টি দ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
তিন দিন ধরে প্রবল ঝড় বইছে ফিলিপিন্সে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। প্রায় দু’কোটি মানুষের বাসস্থান মিনদানদাও দ্বীপে রবিবার বিস্তীর্ণ এলাকা দলের নীচে চলে গিয়েছে। ভেঙেছে বহু সেতু। মিনদানদাও ছাড়া আরও আটটি দ্বীপ সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সেখানে ত্রাণ শিবির খুলেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় লোকালয়ে কুমির ঢুকে পড়ার খবরও মিলেছে। পালাওয়ান নামে মৎস্যজীবীদের একটি গ্রামে বছর তিপ্পান্নর এক জন তাঁর ডুবে যাওয়া নৌকো উদ্ধার করতে গিয়ে কুমিরের পেটে গিয়েছেন।
‘তেমবিন’-এর এক সপ্তাহ আগে ‘কাই-তাক’ নামে আর একটি সমুদ্র-ঝড়ে এ দেশে বহু মানুষ প্রাণ হারান। ক্ষয়ক্ষতিও হয় বিস্তর।