প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফরের শেষ দিন ছিল আজ। এ দিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্সিয়াল বিমানে চেপে দু’জনে উড়ে গেলেন ঐতিহাসিক মার্সেই শহরে। ঘুরে দেখলেন যুদ্ধ-শহিদদের সমাধিক্ষেত্র। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের সমাধিতে ফুল দিলেন মোদী। আজ এক্স হ্যান্ডলে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, স্বাধীনতার যুদ্ধে বীর সাভারকরের অবদান ও তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্সেই শহরবাসী ও ফ্রান্সের তৎকালীন সমাজকর্মীদের। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এই শহরের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এখানেই ব্রিটিশ সেনার বজ্র আঁটুনি এড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বীর সাভারকর। সেই গাথা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
নাসিক ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দামোদর বিনায়ক সাভারকারকে ১৯১০ সালে লন্ডন থেকে গ্রেফতারের পর জাহাজে করে ভারতে আনা হচ্ছিল। ৮ জুলাই জাহাজটি মার্সেই পৌঁছলে পালানোর চেষ্টা করেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী। জাহাজের জানলা গলে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েন। তাঁরা ইংরেজদের হাতে সাভারকারকে তুলে দেন। ব্রিটিশদের হাতে সাভারকারকে তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে ফ্রান্সের যে সব সমাজকর্মী ও সাধারণ মানুষ সেই সময় সরব হয়েছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী।
এ দিন মার্সেইয়ে একটি ভারতীয় কনসুলেটের উদ্বোধন করেন মোদী। শেষ দিনে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিমানে চেপে মার্সেই ভ্রমণ আলাদা মাত্রা জুড়েছে দু’দেশের সম্পর্কে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী বলেছেন, এই সফরে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আরও মজবুত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, শক্তিক্ষেত্র, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে পরমাণু শক্তিকেন্দ্র নিয়েও। ফ্রান্সের একটি পরমাণু শক্তিকেন্দ্রে বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে ভারত।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)