Advertisement
E-Paper

সীমান্তে অভিবাসী শিশুদের তাড়াতেও কাঁদানে গ্যাস!

যুদ্ধক্ষেত্র না। কাল এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত। যার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দু’দেশের সীমান্তের সবচেয়ে ব্যস্ত পয়েন্ট, ‘সেন ইয়েসিদ্রো ক্রসিং’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩৯
প্রাণপণ: কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে সন্তানদের নিয়ে পালাচ্ছেন শরণার্থী মা। মেক্সিকোর টিয়ুয়ানায়। ছবি: রয়টার্স।

প্রাণপণ: কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে সন্তানদের নিয়ে পালাচ্ছেন শরণার্থী মা। মেক্সিকোর টিয়ুয়ানায়। ছবি: রয়টার্স।

কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। আতঙ্কে ছুটোছুটি করছে অনেকগুলি পরিবার। শিশুদের জাপটে ধরেছেন মায়েরা। কেউ আবার সন্তানের হাত ধরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টায়। ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে। দমবন্ধ হয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন শিশু ও তাদের মায়েরা।

যুদ্ধক্ষেত্র না। কাল এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত। যার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দু’দেশের সীমান্তের সবচেয়ে ব্যস্ত পয়েন্ট, ‘সেন ইয়েসিদ্রো ক্রসিং’। মধ্য আমেরিকার কয়েকটি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ক্যারাভান গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জড়ো হচ্ছিল মেক্সিকো সীমান্তের টিয়ুয়ানায়। উদ্দেশ্য একটাই, ধুঁকতে থাকা দেশের অর্থনীতি থেকে কোনও মতে পালিয়ে আমেরিকায় ঢোকা। এত দিন ওই ক্যারাভ্যানে আসা পরিবারগুলি শান্ত ভাবেই টিয়ুয়ানার এক ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু গত কাল সকালে পরিস্থিতি হঠাৎই বদলে যায়। জোর করে প্রায় পাঁচশো অভিবাসী ওই নির্দিষ্ট সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ঢোকার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। পুলিশ বাধা দিলে অভিবাসীদের কয়েক জন তাদের ইট-পাথরও ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তাঁদের আটকাতেই মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে দাবি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে নিরীহ শিশু ও নারীদের উপরে এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে।

মেক্সিকো সীমান্তের এই প্রান্তে বেশির ভাগ অভিবাসী হন্ডুরাসের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দিন ধরেই বলছেন, তাঁদের দেশে ঢুকতে গেলে বৈধ কাগজ-পত্র দেখিয়ে, সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে আসতে হবে। না হলে অবিলম্বে মেক্সিকো সীমান্তের সব দিক বন্ধ করে দেবেন তিনি। তবে অভিবাসীদের একাংশের অভিযোগ, মার্কিন প্রশাসন দিনে ১০০টি আশ্রয় সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করার কথা বলেলও গত শুক্রবার থেকে সেই সংখ্যাটা গড়ে ৪০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে অভিবাসীদের একাংশের মধ্যে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। ট্রাম্পের কথা মতো সরকারি সব নীতি মানতে গেলে সময়টা এক বছরও পেরিয়ে যেতে পারে বলে করছেন অভিবাসীদের একাংশ। দেশ ছেড়ে পরিবার নিয়ে আসা মরিয়া অভিবাসীরা তাই অনেকেই অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বলে দাবি করেছেন ডিএইচএস-এর সচিব ক্রিস্টেন নিয়েলসেন। পিছু হটে আপাতত টিয়ুয়ানাতেই ফিরে গিয়েছেন ওই অভিবাসীরা।

আমেরিকা ডিএইচএস US ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy