Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Black lives matter

ফের কৃষ্ণাঙ্গের গলা চেপে নিউ ইয়র্কে সাসপেন্ড পুলিশ

পুলিশ কমিশনার খোদ জানিয়েছেন, গ্রেফতার করতে গিয়ে এই ভাবে শ্বাসরোধ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে রবিবারই বিনা বেতনে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই অফিসারকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৪:২৪
Share: Save:

এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে মাটিতে ঠেসে ধরে পিছন থেকে গলা চেপে ধরেছেন এক পুলিশ অফিসার। তাঁকে ঘিরে আরও কয়েক জন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হল নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক অফিসারকে। গত ২৫ মে পুলিশে হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ তুঙ্গে মার্কিন মুলুকে। তার পরেই ফের এই ঘটনা।

পুলিশ কমিশনার খোদ জানিয়েছেন, গ্রেফতার করতে গিয়ে এই ভাবে শ্বাসরোধ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে রবিবারই বিনা বেতনে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই অফিসারকে। আরও বিশদ তদন্ত চলছে। ভিডিয়োয় দেখা যাওয়া ওই যুবকের নাম রিচার্ড বেলভিউ। দেখা গিয়েছে, গ্রেফতার করার সময়ে মাটিতে ফেলে তাঁর গলা দু’হাতের চাপে পিষে দিচ্ছেন অফিসার। পিছন থেকে কেউ এক জন বলছেন, ‘‘থামুন, ওঁর শ্বাসরোধ করবেন না।’’ সেই শুনে অফিসার হাত আলগা করেন এবং বাকিরা তাঁর শার্ট ধরে মাটি থেকে টেনে তোলেন। এই ঘটনার পরে শহরের মেয়র বলেছেন, ‘‘কুইনসের এই ঘটনায় নিউ ইয়র্ক পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সংক্রান্ত বুরো দ্রুত তদন্ত চালিয়ে এক অফিসারকে সাসপেন্ড করেছেন। এ ভাবে সঙ্গে সঙ্গে কোনও পদক্ষেপ করা জরুরি ছিল।’’

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে কুইনসের রকওয়ে বিচ এলাকায় একটি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী দলকে ধরতে গিয়েই রিচার্ডদের মুখোমুখি হয় পুলিশ। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিল। রিচার্ডই প্রথম পুলিশকে গালিগালাজ করেন। যোগ দেন বাকিরাও। তখনই পুলিশ তাঁদের আটক করতে যায়। এ ভাবে গলা চেপে ধরা বা ‘চোকহোল্ড’ নিষিদ্ধ নিউ ইয়র্ক পুলিশে।

২০১৪ সালে গ্রেফতার করতে গিয়ে এই ভাবে ‘চোকহোল্ড’ করায় মৃত্যু হয়েছিল এরিক গার্নার নামে এক অভিযুক্তের। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ আন্দোলন চলছে আমেরিকার নানা প্রান্তে। তারই অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসের বাইরে থেকে সপ্তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট কনফেডারেট নেতা অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের একটি মূর্তি সোমবার ধ্বংস চেষ্টা করলেন বিক্ষোভকারীরা। দড়ি বেঁধে টেনে ১৬৭ বছরের পুরনো ১৫ টনের এই মূর্তিটি নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে তার আগেই পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের।

আরও পড়ুন: নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন চিনে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Racial Discrimination Black lives matter Cops
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE