গত মে মাসে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি মনোনীত হওয়ার পরেই ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীর কাছে গাজ়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি ঘটানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ার সাধারণ নাগরিকদের প্রাণরক্ষায় সক্রিয় হলেন পোপ চতুর্দশ লিয়ো। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু বৃহস্পতিবার ভ্যাটিকানে বৈঠক করলেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে।
প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চললেও গত কয়েক সপ্তাহে বারে বারেই ইজ়রায়েল সেনার বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘন করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, এখনও গাজ়ায় খাদ্য, পানীয় জল এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের ‘অসামরিক জনগণের সাহায্য সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজন’ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে ভ্যাটিকানের তরফে জানানো হয়েছে। আব্বাসকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পোপ লিয়ো। পাশাপাশি, পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি ফেরাতে ‘দ্বিরাষ্ট্র ব্যবস্থা’ (ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইন) প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে বলে প্যালেস্টাইন সরকার সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা, প্রয়াত ইরাসের আরাফতের গড়া সংগঠন ‘ফাতা’-র নেতৃত্বাধীন জোট ‘প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (পিএলও)-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ভূখণ্ড। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বশাসিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ সেখানকার প্রশাসন পরিচালনা করেন। একাধিক দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্বাসের দফতর ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের রাজধানী রামাল্লায়। ইজ়রায়েল সেনা অবশ্য আন্তর্জাতিক জনমত উপেক্ষা করেই দীর্ঘ দিন ধরে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের একাংশ দখল করে রয়েছে। একদা গাজ়ার নিয়ন্ত্রণও আরাফত অনুগামীদের হাতে ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ‘গৃহযুদ্ধে’ কট্টরপন্থী হামাস বাহিনী পিএলও-কে পরাস্ত করে গাজ়ার দখল নিয়েছিল।