ব্রিটেনে কনজ়ারভেটিভ ওরফে টোরি দলের নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেল। যে ছ’জন লড়াইয়ে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট প্রীতিই পেয়েছেন— ১২১-এর মধ্যে ১৪। অতএব সবার আগে তাঁর নামই বাদ গেল। আর কোনও ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন না। আপাতত সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে প্রথমে রয়েছেন প্রাক্তন অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক।
দীর্ঘ ১৪ বছর পরে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে টোরিদের হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে লেবাররা। ২০২২ থেকে ২০২৪, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। সুনকের সঙ্গে অবশ্য প্রীতির সমীকরণ মসৃণ ছিল না। একাধিক বার সুনকের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন তিনি। প্রীতি বরং ছিলেন বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ। বরিসের প্রধানমন্ত্রিত্বে (২০১৯-২০২২) স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব সামলে ছিলেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বপদের জন্য প্রচারপর্বেও প্রীতি খোলাখুলি বরিসকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
কনজ়ারভেটিভ দলের নেতৃত্বের জন্য ভোটাভুটি হয় দু’টি পর্যায়ে। প্রথম পর্যায়ে ছ’জন প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য ভোট নেওয়া হয়। ভোট দেন ক্যাবিনেটের পার্টি সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত যে দু’জন লড়াইয়ে টিকে থাকেন, তাঁদের মধ্যে এক জনকে বেছে নেওয়া হয়। ওই পর্যায়ে দলের সব সদস্যই ভোট দেন। এই চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষিত হবে ২ নভেম্বর। তত দিন সুনকই বিরোধী দলনেতা থাকবেন। এ বারের প্রথম রাউন্ডে রবার্ট পেয়েছেন ২৮ ভোট, ২২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় কেমি বাডেনক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)