‘ব্রাইডসমেড’ হচ্ছেন না, তবে হ্যারি-মেগানের বিয়েতে যাবেনই প্রিয়ঙ্কা

ব্রিটিশ রাজবাড়ির বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি নিজেই এক মার্কিন পত্রিকাকে জানিয়েছেন সে কথা। তিনি রাজকীয় বিয়েতে যাবেন। তবে রাজকুমার হ্যারি এবং মেগান মার্কলের বিয়েতে ‘ব্রাইডসমেড’ হচ্ছেন না— বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।

আগামী ১৯ মে উইনসর প্রাসাদে বিয়ের অনুষ্ঠান। ৩৫ বছর বয়সি প্রিয়ঙ্কা এই বিয়েতে কী পোশাক পরবেন, তা এখনও ঠিক করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘মনে মনে ভাবছি। কিন্তু এখনও কিছু আলাদা করে রাখিনি।’’ প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘‘মেগানকে তিন বছর ধরে চিনি। ও আধুনিক যুগের তরুণীর আদর্শ উদাহরণ। ব্যতিক্রমী ভাবনা-চিন্তা। লড়াকু মনোভাব। উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমার মনে হয় মেগানের মতো কেউ এ যুগের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। ওর ব্যক্তিত্ব এমনই।’’

ভাল বন্ধু মেগানের বিয়ে নিয়ে উৎসাহে ফুটছেন প্রিয়ঙ্কা। বলেছেন, ‘‘ওর বিশেষ দিনটার কথা ভেবেই দারুণ লাগছে। এই বিয়েতে শুধু ওদের দু’জনের জীবন পাল্টে যাবে না। বিশ্বেরও দেখার চোখ পাল্টাবে। দৃঢ়চেতা মহিলাকে আদর্শ হিসেবে চিনবে দুনিয়া। মেগানের সেই ক্ষমতা আছে।’’ এ সপ্তাহের গোড়াতেই একটি পত্রিকার একশো জন প্রভাবশালীর নামের তালিকায় উঠে এসেছে মেগানের নাম। তাঁকে নিয়ে ওই পত্রিকায় লিখেওছেন প্রিয়ঙ্কা।

মেগানকে নিয়ে তাঁর বন্ধুর উৎসাহের শেষ নেই। ‘‘বিরিয়ানি আর পুটিন (কানাডার এক রকমের আলু-চাট) খাওয়া আর অন্তহীন আড্ডার মাঝে মেগান মার্কল যে গভীর ভাবনা-চিন্তা করে, তা-ও বুঝেছি। ওর সঙ্গে থাকলে মনে হয় প্রকৃত বিষয়টা আপনি জেনে যাচ্ছেন। যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে, সেটার প্রতি ও অসম্ভব সৎ। ছকে বাঁধা ধ্যানধারণা ভেঙে বেরোতে চায় ও।’’

পত্রিকার লেখায় প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, ‘‘সহাস্য, মুক্তমনা মেয়েটি তার রাজপুত্রকে খুঁজে পেয়েছে। ওদের দেখে নাকউঁচু পৃথিবীর রূপকথায় বিশ্বাস ফিরে এসেছে। কিন্তু সব চেয়ে বড় কথা, মেগান অসম্ভব প্রভাবশালী মহিলা। রাজকুমার হ্যারির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার ক্ষমতা রাখে। ও জনতার হৃদয়ের ‘রানি’ হয়ে উঠবে। আমার বন্ধুকে অনেক অনেক ভালবাসা। সারা জীবন সুখে থাক।’’