গত দু’বছরে ধারাবাহিক ইজ়রায়েলি হামলার জেরে পশ্চিম এশিয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে হামাস, হিজ়বুল্লা, হুথির মতো সহযোগীরা। এই আবহে ইরানের তিন পরমাণুঘাঁটিতে মার্কিন বিমানবাহিনীর অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের ‘জবাব দিতে’ আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের বাহিনী আরেক সশস্ত্র সংগঠনের উপর ভরসা করতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
ইরাকে সক্রিয় ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘পপুলার মোবিলাইজ়েশন ফোর্স’ (এমপিএফ) এবং ইরান ফৌজের এলিট বাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড’-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত কাতেইব হিজ়বুল্লা আগামী দিনে পশ্চিম এশিয়ার মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে বলে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদে দাবি করা হয়েছে। দু’টি সংগঠনই ইরাক-কেন্দ্রিক। ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকায় এমপিএফ যথেষ্ট সক্রিয়। মসুল, কিরকুক, বডরা বা নাসিরিয়ার মতো মার্কিন সেনাঘাঁটিতে তারা হামলা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ঘটনাচক্রে, ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহেই গত শনিবার ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কাতেইব হিজ়বুল্লা। প্রসঙ্গত, গত দু’বছরে উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল আভিভের বিরুদ্ধে তেহরানের ‘যৌথ প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি’ (সামরিক পরিভাষায় ‘অ্যাক্সিস অফ রেজ়িস্ট্যান্স’) অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। গাজ়া ভূখণ্ডে ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক নেতার মৃত্যুর জেরে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা ইজ়রায়েলি সেনার আগ্রাসনে কোণঠাসা হয়ে গত নভেম্বরে সমঝোতার পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। আমেরিকা, ইজরায়েল, সৌদি আরবের যুগপৎ হামলায় একই হাল তেহরানের আর এক সহযোগী, ইয়েমেনের শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির। যদিও তারা এখনও ইজ়রায়েল এবং সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছে।