লক্ষ লক্ষ পাউন্ড! পশ্চিম ক্যারিবীয় সাগরের পাড়ে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে সযত্নে গচ্ছিত রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে! বিদেশে এই বিপুল পুঁজি জমানোয় ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর সদ্য ফাঁস করা প্যারাডাইস পেপার্স-এ বিশ্ব জুড়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নাম উঠে গিয়েছে ব্রিটেনের রানিরও। যা শুনে চমক তৈরি হয়েছে সব মহলেই।
রবিবার রাতে প্রকাশিত ওই পেপার থেকে জানা যাচ্ছে, ‘দুচি অব ল্যাঙ্কাস্টার’ নামে একটি বেসরকারি এস্টেটের মাধ্যমে রানি বিপুল অর্থ লগ্নি করেছেন
বিদেশে। যে অর্থের সঙ্গে জড়িয়েছে খুচরো ব্যবসায়িক সংস্থা ‘ব্রাইটহাউসের’ নামও। এই সংস্থা আবার চড়া সুদে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ভাড়া দিয়ে দরিদ্র এবং দুর্বলদের বড়সড় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজপরিবারের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে পালন করে ‘দুচি অব ল্যাঙ্কাস্টার’। ১৩৯৯ সালে তৈরি হওয়া এই এস্টেট রানির ট্রাস্টে থাকা জমিজমা এবং লগ্নির দেখাশোনাও করে। বারমুডা এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে দুচির অন্তত এক কোটি পাউন্ডের বিনিয়োগ রয়েছে বলে প্যারাডাইস পেপার্সে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই বিনিয়োগে কোনও বেআইনি অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বা এমন কোনও ইঙ্গিতও নেই যাতে বোঝা যায়, রানি কর ফাঁকি দিয়েছেন। কিন্তু বিদেশে কোনও রানির এত বিপুল বিনিয়োগ আদৌ থাকতে পারে কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই। তা ছাড়া, যে ধরনের খাতে রানির বিনিয়োগ রয়েছে, সমালোচনা চলছে তাই নিয়েও।
বিশ্লেষকদের কারও কারও মতে, বিদেশে বিনিয়োগ মানেই কর ফাঁকি দেওয়া নয়, বলা ভাল শুল্ক এড়িয়ে যাওয়া। এমন একটা বিষয় যাকে বেআইনি বলা যায় না, কিন্তু তা অবশ্যই ‘অনৈতিক।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy