E-Paper

নিয়ম মেনে চলার বার্তা আমেরিকার ভারতীয়দের প্রতি

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ, কাউকে ভিসা দেওয়া বা অভিবাসন নীতি সম্পূর্ণ ভাবে কোনও দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অতএব বিদেশে থাকলে সেই দেশের আইন-কানুন মেনে চলতে হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৬:১৭
রণধীর জয়সওয়াল

রণধীর জয়সওয়াল —প্রতীকী চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকে গত তিন মাসে হাতে-পায়ে দড়ি পরিয়ে মোট ৩৮৮ জন ভারতীয়কে সে দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি জানিয়েছে, শুধু কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা, এই চার দেশের সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষকে আগামী এক মাসের মধ্যে ফেরত পাঠানো হবে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ, কাউকে ভিসা দেওয়া বা অভিবাসন নীতি সম্পূর্ণ ভাবে কোনও দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অতএব বিদেশে থাকলে সেই দেশের আইন-কানুন মেনে চলতে হবে।

গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ সম্প্রতি ভিসা বাতিল করা হয় ভারতীয় গবেষক রঞ্জনী শ্রীনিবাসনের। বলা হয় তিনি হামাসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছেন, তাই এই সিদ্ধান্ত। রঞ্জনী এর পর স্বেচ্ছায় আমেরিকা ছেড়ে কানাডায় চলে যান। হামাসের হয়ে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে আরও এক ভারতীয়, বাদার খান সুরি নামে জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির এক গবেষকের বিরুদ্ধে। দু’টি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, যাঁরা আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন, তাঁরা সে দেশের আইন মেনে চলুন।

রঞ্জনী কিংবা বাদার খানের মতো ঘটনাগুলির প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্য, এঁরা ‘সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল’। বিদেশি পড়ুয়াদের প্রতি তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এ ধরনের কাজ করলে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল, তাদেরকেও ট্রাম্প সরকারের পক্ষ থেকে অর্থসাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার নতুন সরকারের নীতিতে ‘রেসিডেন্সি পারমিট’ হারানোর ভয়ে রয়েছেন বহু বিদেশি পড়ুয়া।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ দিন বলেন, দুই ভারতীয় গবেষকের কেউই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। রঞ্জনী নিজেই আমেরিকা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। বাদার খান দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী প্যালেস্টাইনি বংশোদ্ভূত। সেই কারণে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর পর আমেরিকান আদালত তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। আদালতের নির্দেশে আপাতত আমেরিকা ছাড়তে হচ্ছে না তাঁকে। রণধীর জানান, কোনও ভারতীয় যদি সমস্যায় পড়েন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য দূতাবাস রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, “কাউকে ভিসা দেওয়া বা না-দেওয়া কিংবা কোনও দেশের অভিবাসন নীতি সম্পূর্ণ ভাবে সে দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমেরিকার নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরাও এটা আশা করি, যখন কোনও বিদেশি আমাদের দেশে আসবেন, তিনি এ দেশের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলবেন। একই ভাবে বলব, বিদেশে যে সব ভারতীয় রয়েছেন, তাঁরাও সে দেশের আইন-কানুন মেনে চলুন।” সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India Americ

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy