রাখে হ্যারি, মারে কে!
দশ বছরে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া খুদে জাদুকরের গল্পে সেই ২০০৭ সালেই ইতি টেনেছিলেন লেখিকা। জানিয়ে দিয়েছিলেন, হগওয়ার্টস ফেরত হ্যারি পটারের গল্প এখানেই শেষ! তবে ইতি পড়েনি জনপ্রিয়তায়। আর এ বার তাই সে আবার এসেছে ফিরিয়া! নতুন চেহারায়। নতুন গল্পে। নতুন আঙ্গিকে। বড়পর্দার সেই খুদে জাদুকরের এ বার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে থিয়েটারের মঞ্চে। মঙ্গলবার, লন্ডনে ফিরতে চলেছে হ্যারি পটার!
নাটকের নাম ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’। হ্যারির ভূমিকায় ৩৬ বছরের জেমি পার্কার। এই নাটক বলছে, বিশ্বের সব চেয়ে বিতর্কিত জাদুকর হ্যারি বর্তমানে জাদু-মন্ত্রকে কর্মরত। তিন সন্তান আর স্ত্রী জেনি উইজলিকে নিয়ে তার সুখের সংসার। এখনও সেই চেনা গোল চশমা আর কপালের ডান দিকে কাটা দাগে দিব্যি চেনা যায় এই ‘উইজার্ড’কে! হ্যারির তিন সন্তানের মধ্যে বড় অ্যালবাস। হগওয়ার্টসের জনপ্রিয় হেডমাস্টার অ্যালবাস ডাম্বলডোরের নামে যার নামকরণ করেছিল হ্যারি নিজেই। খুদে অ্যালবাসের কাছে পরিবারের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরতে চায় হ্যারি। আর সেই নিয়েই আবর্তিত হয়েছে নাটকটি।
লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডের প্যালেস থিয়েটারে ইতিমধ্যেই নাটকের কয়েকটি প্রিভিউ-দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই থেকে জনসাধারণের জন্য মঞ্চস্থ হওয়ার কথা নাটকটি।
হ্যারির এই প্রত্যাবর্তনে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে পটারপ্রেমীদের মধ্যে। পটারমোর ওয়েবসাইটে নাটকের প্রধান অভিনেতা জেমি লিখেছেন, ‘‘এই গল্পগুলোর সঙ্গে মানুষ তাদের গোটা শৈশব কাটিয়েছে। এখন তারা বড় হয়ে গিয়েছে। আবার তারা সেই গল্পগুলোর সঙ্গে পুনর্মিলিত হচ্ছে। আমিও তাদেরই একজন।’’
হ্যারিকে নিয়ে ফেরা এই নাটকটি মঞ্চে ওঠার আগেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে। গত অক্টোবরে নাটকটির কথা ঘোষণা হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এক লক্ষ ৭৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আর নাটকের চিত্রনাট্য প্রকাশিত হওয়ার আগেই ‘বেস্টসেলারে’র তকমাও পেয়েছে।
তবে এই নাটকটিকে হ্যারি-উত্তেজনাকে জোর করে জিইয়ে রেখে টাকা কামানোর চেষ্টা বলে কটাক্ষও করছেন কিছু সমালোচক। নাটকটিকে দু’ভাগে ভাগ করে মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচকদের দাবি, হ্যারি পটারের নামের জোরে দর্শকদের চড়া দামে দু’বার টিকিট কাটতে বাধ্য করছে নাট্যসংস্থা! বিতর্ক তৈরি হয়েছে নাটকে হারমিওনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে এক জন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার অভিনয় করা নিয়েও। হ্যারি পটারের স্রষ্টা জে কে রোওলিং টুইট করে জানান, নতুন হারমিওনিকে নিয়ে সমস্যা নেই। মূল গল্পেতার চামড়ার রংয়ের উল্লেখ নেই।
এ সব বিতর্কে কান দিচ্ছেন না চিত্রনাট্যকার জ্যাক থোর্ন এবং নির্দেশক জন টিফ্যানি। এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই পটারপ্রেমীদেরও। প্রথম ‘প্রিভিউ’য়ের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে নিমেষে। নাটকের জন্য হয়েছে নয়া ওয়েবসাইট ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.হ্যারিপটারদ্যাপ্লে.কম। সেখানে শুরু কাউন্টডাউন। মাগ্ল-দুনিয়ায় ফিরছে উইজার্ড! পছন্দের নায়কের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় পটারপ্রেমীরা। রোওলিং কলম ছেড়েছেন, তবে ভক্তকূলে এখনও হ্যারি আছে হ্যারির মতোই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy