কৃষ্ণসাগরে নতুন করে যুদ্ধের আবহ। — ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন যুদ্ধের ২৫ মাস পূর্তির পরেই কিভ নিশানা করে আকাশপথে হামলা চালাল রাশিয়া। রবিবার থেকে ইউক্রেনের রাজধানীকে নিশানা করে ধারাবাহিক ভাবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং আত্মঘাতী (কামিকাজ়ে) ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। সেই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর নিশানা হয়েছে পশ্চিম ইউক্রেনের আর এক শহর লেভিভও।
কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো সোমবার সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সফল ভাবে হামলার মোকাবিলা করেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেন ফৌজের তরফে মস্কো অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপকূল কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার দাবি জানানো হয়েছে। ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সেনার দাবি, আকাশপথে তারা ক্রাইমিয়া উপকূলে মোতায়েন দু’টি রুশ যুদ্ধজাহাজ সফল ভাবে নিশানা করেছে।
প্রবল শীত আর তুষারপাত কমে আসার পরেই নতুন করে ইউক্রেনে আক্রমণের অভিঘাত বাড়িয়েছে পুতিনের সেনা। কিভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো সোমবার জানিয়েছে, দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা হয়েছে রাজধানী শহরে। তবে ইউক্রেন সেনার ‘এয়ার ডিফেন্স ফোর্স’ বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
গত এক বছরে উত্তর-পূর্বের খারকিভ, জ়াপোরিজিয়া, দক্ষিণে মাইকোলিভের বেশ কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর হাতছাড়া হয়েছে। বস্তুত, পুতিন বাহিনী আর কত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই। এই পরিস্থিতিতে মস্কোর নির্দেশে মরিয়া হয়েই বেছে বেছে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ কেন্দ্র এবং বড় শহরগুলিকে গুলিকে নিশানা করা হচ্ছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। অন্য দিকে, পশ্চিমের লেভিভোয় রুশ হামলার জেরে পোল্যান্ড সরকার সে দেশের সেনার উদ্দেশে ‘সতর্কবার্তা’ জারি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy