আবার ইউক্রেনের মাটিতে আছড়ে পড়ল একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। শুধু তা-ই নয়, ড্রোন হামলাও চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে আক্রমণের তেজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। তবে শনিবার রাতভর অনেকগুলি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫৮০টি ড্রোন ছুড়েছে ইউক্রেনে। এই হামলায় অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে।
রুশ হামলা নিয়ে শনিবার সমাজমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর দাবি, রাতভর ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ড্রোন হামলাও হয়েছে। ইউক্রেনের কোন কোন অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ডিনিপ্রো। ওই এলাকার একটি ভবনে আছড়ে পড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। ডিনিপ্রোর গভর্নর সের্গেই লাইসাক জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ওই এলাকায় রুশ হামলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্তত ২৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার আভাস পাওয়ার পরেই ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কিভ-সহ দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পাল্টা দাবি করেছে, তাদের বাহিনী দক্ষিণ ভলগোগ্রাদ, রস্তভ এবং সারাতভ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই ক্রমশ বাড়ছে। ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক ‘দখল’ নিতে চায় রাশিয়া। ওই দুই এলাকার আরও বিস্তীর্ণ অংশে আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়ে হামলার তেজ বৃদ্ধি করছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আদৌ থামবে? সেই প্রশ্ন ঘুরছে নানা মহলে। আমেরিকায় দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে দাবি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনও কোনও রফাসূত্র বার হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জ়েলেনস্কির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। শান্তি আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিবাচক কোনও ফল হয়নি। কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত এক টেবিলে বসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। দুই পক্ষই নিজের নিজের মতো করে শর্ত চাপিয়ে রেখেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলি এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই আবহে প্রায় প্রতি দিনই ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করছে রাশিয়া। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও।