Advertisement
E-Paper

রাশিয়া না চিন, বাজারে কার ভ্যাকসিন আগে

গত ১১ অগস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন তাঁরা। ভ্যাকসিনটিকে সরকারি ছাড়পত্র দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে দেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বিতর্ক উপেক্ষা করে এ বার ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন নিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভাল আছেন। শরীরে কোনও অস্বস্তি নেই।

গত ১১ অগস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন তাঁরা। ভ্যাকসিনটিকে সরকারি ছাড়পত্র দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে দেন তিনি। ১৯৫৭ সালে মহাকাশে প্রথম স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তারা দাবি করে, ‘সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে’। স্পুটনিক স্যাটেলাইটের নামে ভ্যাকসিনটির নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। পুতিন সে দিন এ-ও জানান, তাঁর এক মেয়েকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়েছে। মেয়ে ভাল আছে। যদিও এই ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পরে জানা যায়, ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ শুরুই হয়নি। ট্রায়াল শেষ করার আগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করে রাশিয়া জানায়, সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসতে চলেছে ভ্যাকসিন।

ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। রুশ শীর্ষ নেতাদের অনেকেই প্রতিষেধকটি নিয়েছেন। যেমন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি, রুশ বাণিজ্য মন্ত্রী ডেনিস মানতুরোভ। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শইগু সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।

রাশিয়া সর্বপ্রথম দেশীয় ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু চিন তারও আগে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন দেশের মানুষকে প্রয়োগ করা শুরু করে দিয়েছিল। উভয়ক্ষেত্রেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অসম্পূর্ণ। এবং উভয়েই তাদের গবেষণা গোপন রেখেছিল। এই প্রথম নিজেদের ভ্যাকসিন প্রকাশ্যে আনল চিন। বেজিংয়ে বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে এ সপ্তাহে। সেখানেই চিনা সংস্থা ‘সিনোভ্যাক বায়োটেক’ ও ‘সিনোফার্ম’-এর তৈরি প্রতিষেধকটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সংস্থার স্টলে দেখা গিয়েছে— ছোট ছোট ভায়ালে রাখা ‘বিশল্যকরণী’ তরল। তুরুপের তাস সেই ভ্যাকসিন দেখতে স্টলের সামনে ভাল ভিড় হয়েছে সোমবার।

সরকারি ছাড়পত্র দিয়ে দিলেও চিন বাজারে আনেনি তাদের ভ্যাকসিন। জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাজারে ছাড়া হবে। তবে তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। সিনোভ্যাকের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একটি ভ্যাকসিন-কারখানা তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। এক বছরে অন্তত ৩০ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতা রাখে কারখানাটি। ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে এত দিন কার্যত বিদ্ধ হতে হয়েছে চিনকে। এ বার তারা সমাধান বাতলে দেওয়ার আশায়।

Coronavirus covid19 Russia China
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy