ইউক্রেনে হামলা চালাতে এ বার নয়া যুদ্ধবিমান পুতিনের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আর স্থলসেনা নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে বায়ুসেনা। শনিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে শামিল রুশ বাহিনীর সামগ্রিক পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীর প্রধান সের্গেই সুরোভিকিনকে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বায়ুসেনা তাদের আধুনিকতম যুদ্ধবিমান সুখোই-৩৫এস ব্যবহার শুরু করেছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান নিখুঁত লক্ষ্যে হামলা চালানোর পাশাপাশি শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারিও অনেকাংশে ফাঁকি দিতে পারে বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি।
ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনীর প্রত্যাঘাতে গত এক মাসে উত্তর ইউক্রেনের খারকিভ, দক্ষিণের খেরসন এবং পূর্বে ডনবাস (ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল একত্রে এই নামে পরিচিত) বেশ কিছু এলাকা রুশ ফৌজের হাতছাড়া হয়েছে। আমেরিকার দেওয়া জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্রে রুশ ট্যাঙ্ক বহরকে কার্যত তছনছ করেছে ইউক্রেন সেনা। পাশাপাশি, স্থলযুদ্ধে আমেরিকার দেওয়া আর এক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম’ (হিমার্স) ব্যবহারেও সাফল্য পাচ্ছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে অধিকৃত চার অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলি রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘোষণা করেছেন পুতিন। কিন্তু এর পরেও যুদ্ধের ‘গতি’ বদলায়নি। বরং সেনাবাহিনীতে যোগদান নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পরে রুশ যুবকদের একাংশের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই ইউক্রেনে হানাদারির জন্য পুতিন এ বার আকাশপথের উপর নির্ভরতা বাড়াতে চাইছেন বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy