ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভ্লাদিমির পোতানিন।
কিভের উপর মস্কোর আগ্রাসনের ফলে যে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি রাশিয়া ছে়ড়ে চলে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে আরও ১০০ বছর পিছিয়ে দেবে। ক্রেমলিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন ভ্লাদিমির পোতানিন। পোতানিন রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং ধাতু সংস্থা নরলিস্ক নিকেল-এর মালিক।
পোতানিন জানান, রাশিয়া পশ্চিমী সংস্থা এবং বিনিয়োগকারীদের দেশে ঢোকার পথ বন্ধ করলে ১৯১৭ সালের বিপ্লবের অশান্ত দিনগুলিতে ফিরে যেতে হতে পারে। তিনি রাশিয়ান সরকারকে পশ্চিমী সংস্থাগুলির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে সতর্ক করে এই বার্তাই দিয়েছেন।
তবে পোতানিন এ-ও বলেন, ‘‘অনেক বিদেশি সংস্থা রাশিয়ায় নিজেদের কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার মতে, আবেগের বশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথবা তারা চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, তারা আবার রাশিয়ায় ব্যবসা করতে ফিরে আসবে।’’
পোতানিনকে বলা হয় রাশিয়ার ‘বিল গেটস’। এই বছর শেয়ার বাজারে নরিলস্ক নিকেল ক্ষতির মুখে পড়ে এক চতুর্থাংশ খোয়ানো সত্ত্বেও তিনিই সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে রয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি মস্কো-কিভ সঙ্ঘাত শুরুর ফলে তাঁর সংস্থা চলতি মাসে লন্ডনে নিজেদের শেয়ারের ৯০ শতাংশ খুইয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত ১৭ দিনে পা দিল। ইতিমধ্যেই ক্রেমলিনের হামলার মুখে পড়ে বিপর্যস্ত কিভ। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের নিন্দায় সরব হয়েছে সারা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ সরাসরি না হলেও বিভিন্ন সেনা এবং মানবিক সরঞ্জাম দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও নিজে থেকেই রাশিয়ায় নিজেদের ব্যবসা গুটিয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম লেনদেনে যেতেও অস্বীকার করেছে অনেক বহুজাতিক সংস্থা। তবুও ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন থামবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়তে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy