এস জয়শঙ্কর এবং বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারি
নতুন সরকারের নতুন বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পড়শি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারি। এ বার পাক সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে পাকিস্তানের এক সরকারি আধিকারিক এমনটাই দাবি করেছেন।
জুলাইয়ের শেষের দিকে উজ়বেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে হতে চলেছে ‘শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন’ (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলন। সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। ওই বৈঠকের ফাঁকেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দিন নির্দিষ্ট না হলেও ওই সংবাদমাধ্যমটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ২৭ অথবা ২৮ জুলাই বৈঠক হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই আলোচনায় উঠতে চলেছে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এ নিয়ে এখনও কিছু বলেনি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রত্যাহার করেছিল পাকিস্তান সরকার। তার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু গত এপ্রিলে ইমরান খান সরকার পড়ে যাওয়ার পরে পাকিস্তানে তৈরি হয় নতুন জোট সরকার। শুরু থেকে সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের উপরেও জোর দেন তিনি। পাক বিদেশমন্ত্রী তথা বেনজ়ির ভুট্টোর পুত্র বিলাবলও ভারতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কাশ্মীরকেই অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েও সে দেশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করেন বিলাবল।
ভারত সরকারের তরফে এ নিয়ে মুখ খোলা না হলেও সম্প্রতি জয়শঙ্কর এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন পড়শি দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁর আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাকে কোনও বৈঠকে আসতে বলা হল, আর আপনি নিজে থেকেই ভাল পোশাক পরে সেখানে এলেন সেটা এক বিষয়। আর আমি আপনার বাড়ি গিয়ে আপনার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যদি আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসি, সেটা তো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কোনও পড়শি দেশ যদি বলে আমরা সীমান্তে সন্ত্রাস জারি রেখে আলোচনায় বসব, তা হলে সেই বৈঠকে যেতে আমার আপত্তি আছে।’’ সম্প্রতি সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আগামী সেপ্টেম্বরে এসসিও-র রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকও রয়েছে। উজ়বেকিস্তানেরই সমরখন্দে ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর সেই বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে অংশ নেওয়ার কথা মোদীর। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনেরও ওই শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়ার কথা। যাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফও। সেখানে শরিফ কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলবেন বলে আগেভাগেই বার্তা দিয়ে রেখেছে পাক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy