E-Paper

পাকিস্তানে সংস্কৃত পাঠ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, “সংস্কৃত— বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং সব চেয়ে প্রভাবশালী ধ্রুপদী ভাষা। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে পাকিস্তানে খুব কম জায়গায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ভাষা শেখানো হয়েছে...’’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪০

—প্রতীকী চিত্র।

পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সংস্কৃত চর্চা! লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) ডিসেম্বরে সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনার আয়োজন করেছিল। পাকিস্তানের শিক্ষাবিদদের মতে, দেশভাগের পরে এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের শ্রেণিকক্ষে ওই ভাষা শেখানো শুরু করেছে। যা পাকিস্তানের শিক্ষাজগতে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, “সংস্কৃত— বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং সব চেয়ে প্রভাবশালী ধ্রুপদী ভাষা। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে পাকিস্তানে খুব কম জায়গায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ভাষা শেখানো হয়েছে...’’।

এই উদ্যোগের কেন্দ্রে রয়েছেন ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শহিদ রশিদ। তিনি কেন সংস্কৃত চর্চা করছেন, এমন প্রশ্ন করা হলে, রশিদ বলেন, ‘‘আমরা কেন সংস্কৃত শিখব না? এটি সমগ্র অঞ্চলের সংযোগকারী ভাষা। সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলেই ছিল। সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সময়ে এখানে প্রচুর লেখালেখি হয়েছিল। সংস্কৃত একটি পর্বতের মতো— একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে আপন করে নিতে হবে। এটা আমাদেরও। এটা কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সঙ্গে আবদ্ধ নয়।” গুরমানি সেন্টারের পরিচালক আলি উসমান কাসমি বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সংস্কৃত পড়ানো হত। ছাত্র, গবেষক, আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদ-সহ সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু বিপুল সাড়া পড়তে দেখে বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যক্রম হিসেবে চালু করেছে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pakistan Education

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy