প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এর মধ্যেই আশঙ্কা বাড়িয়ে একাধিক গবেষণা বলছে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ নাও করতে পারে টিকা। গবেষকদের একাংশের মতে, করোনার আগের স্ট্রেনগুলির বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি লড়াই করতে সমর্থ তাদের ‘সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে’ রুখে দিতে পারে করোনাভাইরাসের এই আফ্রিকান স্ট্রেন।
সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ রকম তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ব্রাজিলে পাওয়া নতুন স্ট্রেন আটকে দিতে পারে এই অ্যান্টিবডিকে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড টপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক লিয়াম স্মিথ বলেছেন, ‘‘তথ্য বলছে, আগে যদি কেউ কোভিডে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। কিন্তু তথ্য এও বলছে যে, নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে বাজারে আসা টিকাগুলি তুলনায় কম কার্যকরী।’’ যে এলাকায় নতুন স্ট্রেনের উপস্থিতি রয়েছে, সেখানে বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে এ নিয়ে পরীক্ষা করার কথাও বলেছেন ওই গবেষক।
বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ শুরু হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদন দিয়েছে কেবল মাত্র ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকাকে। হু-এর সেই তালিকায় রয়েছে আরও তিনটি টিকা। যেগুলিকে খুব শীঘ্রই ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে চিনের তৈরি সিনোভ্যাক এবং সিনোফার্ম। এ নিয়ে হু-এর অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারাল মারিয়াঙ্গেলা সিমাও বলেছেন, ‘‘একটি টিকাকে এখনও অবধি আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আরও ৩টি টিকাকে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy